East Bengal: মাঠের বাইরেও বাগান সমর্থকদের যোগ্য জবাব মশালবাহিনীর

গতকালের ডার্বি জয় যেন এক নিমেষে বদলে দিয়েছে সমস্ত কিছু। বহু বছর ধরে বুকের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভ কিংবা অভিমান সব যেন এক নিমেষে উধাও হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদ (East Bengal) সমর্থকদের।

East Bengal's Lineup

গতকালের ডার্বি জয় যেন এক নিমেষে বদলে দিয়েছে সমস্ত কিছু। বহু বছর ধরে বুকের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভ কিংবা অভিমান সব যেন এক নিমেষে উধাও হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদ (East Bengal) সমর্থকদের। তাই মাঠ ও মাঠের বাইরে ও এবার সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কড়া জবাব দিল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।

আসলে, গতকাল ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে একটি অভিনব টিফো নেমে আসে মোহনবাগান গ্যালারি থেকে। যেখানে বাঘের পাশাপাশি দেখা যায় একটি সিংহের ছবি। যেখানে মূলত দেখানো হয় একটি বাঘ কিভাবে বনের রাজা তথা সিংহকে দমিয়ে রাখছে। যা দেখে সহজেই মেজাজ হারাতে শুরু করেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। তবে গত আটটি ডার্বিতে পরাজিত হওয়ার দরুণ কিছুই বলার ছিলনা দলের সমর্থকদের। তবে ম্যাচের চূড়ান্ত হুইসল বাজতেই যেন বদলে গেল সমস্ত কিছু। এতদিনের এত অপমান যেন সুদ সমেত ফেরত দিতে শুরু করল লাল-হলুদ সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল দলের গান ও স্লোগানে ভরে উঠতে শুরু করে গোটা মাধ্যম। যা সহজেই ট্রেন্ডিংয়ের আকার ধারন করে।

আসলে মাঠে ওই টিফোর জবাব না দিতে পারলেও নেট মাধ্যমে বাগান সমর্থকদের একহাত নিলেন সকলে। তারা বুঝিয়ে দিলেন কারা বাঘ আর কারা বিড়াল। তবে সেখানেই শেষ নয়। মোহনবাগান দলের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল দলের শক্তি ও তুলে ধরা হতে থাকে তাদের তরফে। লাল-হলুদ সমর্থকরা বলতে বলতে শুরু করেন, ৭০ কোটি টাকার দল। সেইসাথে বিশ্বকাপার। সব তোদের। কিন্তু স্কোর লাইন আমাদের। যা রীতিমতো নজর কেড়েছে সকলের।

উল্লেখ্য, ম্যাচের শুরুতে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের দাপট থাকলেও ম্যাচ এগোনোর সাথে সাথে খেলার কন্ট্রোল নিজেদের হাতে নিতে শুরু করে কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঠিক ৬০ মিনিটের মাথায় ডানদিক থেকে বল নিয়ে সোজা বাগান ডিফেন্সে হানা দেন লাল-হলুদের নন্দকুমার। তারপর বলটা ডান পা থেকে বাঁ পায়ে নিয়ে জোড়ালো একটি শট নেন এই তারকা ফুটবলার। কোনো জবাব ছিল না সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডারদের। বল আটকাতে অপারক থাকেন বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। যারফলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। সেই ফলাফল বজায় রেখেই আসে জয়।