সামনের মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) দল হতে পারে আরও শক্তিশালী। সেটাই হওয়া উচিৎ, কারণ দল খেলবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এশিয়ান টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখেই নতুন মরসুমের দল তৈরি করতে হবে ইমামি-ইস্টবেঙ্গলকে।
ইস্টবেবলের বর্তমান বিদেশি ফুটবলারদের কেউ কেউ হয়তো পরের মরসুমে থাকবে না। ভারতীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি লাল হলুদের বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যেও সংযোজন, বিয়োজন চলবে বলে আশা করা যায়। পরের মরসুমে দলের ডিফেন্স, মাঝমাঠ, আক্রমণভাগে কোন কোন বিদেশি খেলবেন সেটা এখনই জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। মাঝপথে যোগ দেওয়া দুই বিদেশি ভাসকুয়েজ ও ফেলিসিও ব্রাউন মনে রাখার মতো এখনও কিছু করতে পারেননি।
রক্ষণে হিজাজি মাহের ভরসা যুগিয়েছেন। তবে আসন্ন মরসুমে তিনি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলবেন কিনা বলা মুশকিল। মাঝমাঠে সাউল ক্রেসপো ধারাবাহিকভাবে ভালো , তাঁর পাশে ভালো মানের আরও এক ফুটবলার রাখা যেতে পারে। আক্রমণের ক্ষেত্রে ক্লেইটন সিলভা কার্যত একা। সামনের মরসুমে তিনি কতটা কী করতে পারবেন বলা মুশকিল। ভালো মানের স্ট্রাইকার ইস্টবেঙ্গলের দরকার।
ব্যাক আপ হিসেবে অতিরিক্ত বিদেশি দলের সঙ্গে রাখতে পারে লাল হলুদ শিবির। বিদেশি প্রতিযোগিতায় অতিরিক্ত বিদেশি ফুটবলার খেলানো যায়। তাছাড়া চোট আঘাত সমস্যা থাকলে, ফুটবলার রিপ্লেসমেন্ট করতে হলে ব্যাক আপ হিসেবে থাকা বিদেশি ফুটবলার কাজে লাগতে পারে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আগে অনেক দলই অতিরিক্ত বিদেশি দলের সঙ্গে যুক্ত করে থাকে। সামনের সিজনে ইস্টবেঙ্গলও তেমনটা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।