East Bengal: আজ শহরে আসছে লাল-হলুদ দল, বিকেলে অনুষ্ঠান ক্লাবে

গত রবিবার এক অনবদ্য ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে দেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষ। বারো বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোনো জাতীয় খেতাব ঘরে তুলেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। অবশেষে এবারের…

East Bengal Team's Grand Homecoming Today, Afternoon Celebration at the Club

গত রবিবার এক অনবদ্য ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে দেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষ। বারো বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোনো জাতীয় খেতাব ঘরে তুলেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। অবশেষে এবারের সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় পাওনা সমর্থকদের কাছে। তবে প্রতিপক্ষ দল তথা গতবারের বিজয়ীরা যে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে ট্রফি ধরে রাখতে চাইবে তা আন্দাজ করা গিয়েছিল অনেক আগেই।

তবুও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই লড়াই করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেখান থেকেই এসেছে জয়। তবে প্রথমদিকে ওডিশা এফসির তারকা ফুটবলার দিয়াগো মরিসিওর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। বলতে গেলে প্রথমার্ধের শেষে এগিয়ে ছিল সার্জিও লোবেরার ছেলেরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ বুঝে গোল শোধ করে যান ইস্টবেঙ্গল তারকা নন্দকুমার।

তারপর থেকেই নিজের পুরনো ছন্দে ফেরে ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময় সাউল ক্রেসপোর গোল। লাল-হলুদ এগিয়ে যেতেই ব্যাপক চাপে পড়ে যায় আহমেদ জাহুরা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময় পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান জাহু। যারফলে, ফের অতিরিক্ত সময় চলে যায় খেলা। সেখানেই দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ক্লেটন সিলভা।

তার সেই বিশ্বমানের গোলে শাপমোচন হয় কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের। বর্তমানে সেই নিয়ে মাতোয়ারা আপামর লাল-হলুদ জনতা। গতকালের পর আজ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ কলকাতা শহরে পা রাখছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। তাদের বরণ করে নিতেই বর্তমানে প্রচন্ড ব্যস্ততা দেখা দিয়েছে সমর্থকদের মধ্যে।

সেখান থেকেই পরবর্তীতে ক্লাবে আসতে পারেন খেলোয়াড়রা। দলের এই অভূতপূর্ব সাফল্যের দরুন আজ বিকেল চারটে নাগাদ পুরোনো রীতি মেনেই পতাকা উত্তোলনের মতো বেশকিছু অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে ক্লাবের তরফ থেকে। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, সাফল্যের জন্য আগামী বেশ কয়েকদিন নাকি খেলোয়াড়দের ছুটি দিয়েছেন দলের হেড কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত।