East Bengal: মুহুর্মুহু হার, রেফারি থেকে কর্মকর্তা প্রত্যেকের উপর উগরে দিল ক্ষুব্ধ

ফের হার ইস্টবরঙ্গলের (East Bengal)। লাইন্সম্যান থেকে শুরু করে প্লেয়ার, কর্মকর্তা, রেফারি সবার উপর ক্ষুব্ধ তারা। ছয় থাকার সম্ভাবনা ছিল ম্যাচ জিতলে। ব

East Bengal fans

ফের হার ইস্টবরঙ্গলের (East Bengal)। লাইন্সম্যান থেকে শুরু করে প্লেয়ার, কর্মকর্তা, রেফারি সবার উপর ক্ষুব্ধ তারা। ছয় থাকার সম্ভাবনা ছিল ম্যাচ জিতলে। বজায় থাকত প্লে অফ খেলার লড়াই। সে সব ভুলে এখন ইস্টবেঙ্গল নয় নম্বরে। নয় ছয় অবস্থা দলের। স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তারা।

তারা বলছেন, ‘লাইন্সম‍্যানকে একদম কিছু বলবেন না। মনে রাখবেন ওরা খুব গরীব। ওরা মাছ কাটে, অটো চালায় পার্টটাইমে বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে গল্প করে। তাই ওদের যা খুশি, যেমন খুশি সিদ্ধান্ত দিতেই পারে। যেহেতু ওরা গরীব তাই যা খুশি ক্ষতি করে দিতে পারে। আপনি এখন কিছু বললে বা করলে আপনি খারাপ বলে প্রমাণিত হয়ে যাবেন। ইস্টবেঙ্গলের বুদ্ধিজীবি সমর্থকদের রুচিতে বাঁধবে আপনাকে সহসমর্থক হিসাবে পরিচয় দিতে। তাছাড়া কাদের হয়ে আপনি কথা বলবেন?

East Bengal lost to Orissa

জেনুইন গোল বাতিলের পর গোলদাতা অঙ্কিত মুখার্জি একাই দেখলাম প্রতিবাদ করতে দৌড়ে গিয়েছে। একবার লাইন্সম‍্যানের কাছে আরেকবার ফোর্থ রেফারীর কাছে গেল। না কোন সতীর্থ, না কোন কোচিং স্টাফ – কাউকেই নড়াচড়া টুকুও করতে দেখা গেল না। অথচ গোলটা হলে খেলা পাল্টালেও পাল্টানো যেত। তখন অবশ‍্য আবার খাটুনি বাড়তো। আরেকটা গোল করে এক পয়েন্টের জন‍্য ঝাঁপাতে হতো। এতো সুন্দর শীতের রাতে এতো ঝামেলা করে কি লাভ? অত কষ্ট করে লাভ নেই। এনজয় করো। কর্তা, ইনভেস্টর, কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড় কারো কিচ্ছু আসে যায় না। একমাত্র বারবার বোকা বনে হয় সমর্থকেরা। খেয়ে না খেয়ে, নিজেরটা না ভেবে মাঠে যায়। বোকার মতো ঘরে ফেরে। কিছু চালাক লোক আছে তারা আবার দেখাতে চায় সব দোষ কোচ, খেলোয়াড়দের। কর্তা আর বর্তমান ইনভেস্টররা সবাই কেউ কিচ্ছু জানে। আগের বারের ইনভেস্টররা অবশ‍্য এই সুবিধা পায়নি।’

ক্ষুব্ধ সমর্থকরা বলছেন, ‘যারা এখনও মাঠ ভরাচ্ছে, এওয়ে তে ট্রাভেল করছে তাদের পূর্ণ সম্মান জানিয়ে বলছি, আপনাদের আবেগ নিয়ে ব‍্যবসা চলছে। পকেট ভরছে কর্তারা, বিজ্ঞাপনে মুনাফা লুটছে ইনভেস্টররা। আজ ইভান কে যা তা বলছে। করছেন কাল টুবান ওর জায়গায় এসে খারাপ কথা শুনবে। আজ শুভম ভুলভাল কথা শুনছে কাল উদোম আসবে, এসে যা তা শুনে যাবে।

একসময় প্লাজাকে যা তা করে মার্কোস এসপাদা পেয়েছেন। এসপাদাকে যা তা বলে আমাদি পেয়েছেন। যা নয় তাই বলে দিয়েছেন চুকুউ এসেছিলো। এসব বলে, করে পেয়েছেন এলিয়ান্দ্র। বছর ঘুরেছে, বহু নাটক শেষে হাত সেই খালিই থেকেছে। ইস্টবেঙ্গলের কোন লিওনেল মেসি নেই যে তীব্র আকাঙ্খায় লড়েই যাবে নিজের শেষ বিন্দু দিয়ে। এখানে প্লেয়ার আসে যায়। আপনারা যেটাকে দুঃসময়ে পাশে থাকা ভাবছেন সেটা আদতে কর্তাদের ব‍্যবসায় মূলধন জোগাচ্ছেন। তাই ভাবুন। সমর্থক সরে গেলে মূলধন কিন্তু সরে গেলো। ভাবুন…. ভাবুন। নিজের পবিত্র আবেগ কিছু খারাপ লোকের ব‍্যবসার মূলধন বানাবেন না। সময় পাল্টাবে, পরিস্থিতি নয়। গ‍্যালারী ভরিয়ে পাল্টানো যায়নি। এক যুগ কিন্তু হতে চললো।’