নতুন ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে কি বড়সড় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল (East Bengal FC)? অন্তত তেমনই সম্ভাবনা ক্রমশ গাঢ় হতে চলেছে। গত কয়েকমাস ধরেই আনোয়ার ইস্যু নিয়ে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে ‘টাগ অফ ওয়ার’ চলছে। ইতিমধ্যে প্লেয়ার স্টেটাস কমিটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আনোয়ার যেভাবে মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি ভেঙেছে, তা একেবারেই অনৈতিক। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে পারে।
ইস্টবেঙ্গলের AFC প্রতিপক্ষ শেষ পাঁচ ম্যাচে দিয়েছে ১৮ গোল
কী হয়েছে বিষয়টি, ছোট করে জেনে নেওয়া যাক। আনোয়ার আলি শেষপর্যন্ত মোহনবাগান না ইস্টবেঙ্গল কোন দলের হয়ে খেলবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছে। আসলে, মোহনবাগানে পঞ্জাবের এই ফুটবলার যোগ দিলেও, তিনি সেই লোন চুক্তি ভেঙে দেন। এরপর তিনি দিল্লি এফসি’তে ফিরে যান। সেখান থেকে আবার যোগ দেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। এই পরিস্থিতিতে মোহনবাগানও বিষয়টা সহজে ছেড়ে দেয়নি। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা ও প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল আনোয়ার ও মোহনবাগানের। সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানো হয়, আনোয়ার যে প্রক্রিয়ায় মোহনবাগানের সঙ্গে অনৈতিক প্রক্রিয়ায় লোন চুক্তি ভেঙেছেন।
এই ঘটনায় শুধুমাত্র ইস্টবেঙ্গলই নয়, দিল্লি এফসি’ও একই সমস্য়ায় পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার কথা জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে আনোয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে শনিবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। শোনা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে ১০ দিন এই শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও ক্লাবের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আপাতত ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্য়াচ এবং এএফসি কাপের প্রিলিমিনারি ম্যাচ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। চলতি ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গল যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করছে। গত মরশুমের ডুরান্ড কাপের ফাইনালেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে তাদের হারতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে এবার সেই পরাজয়ের বদলা তারা নিতে পারে কি না, সেটাই আপাতত দেখার।