East Bengal: যুবভারতীতে অনুশীলন করতে পারবে না মশালবাহিনী, কিন্তু কেন?

গত তিনটি ফুটবল মরশুমে একেবারে হতশ্রী পারফরম্যান্স থেকেছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। শেষ মরশুমের শুরুটা ভালো হলেও পরবর্তীকালে নাজেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে দলের ফুটবলারদের।

practice East Bengal

গত তিনটি ফুটবল মরশুমে একেবারে হতশ্রী পারফরম্যান্স থেকেছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। শেষ মরশুমের শুরুটা ভালো হলেও পরবর্তীকালে নাজেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে দলের ফুটবলারদের। যারফলে, প্রত্যেকবার লিগ টেবিলের তলানিতে থেকে মরশুম শেষ করতে হয়েছে তাদের। যা দেখে রীতিমতো হতাশ সমর্থকরা। তবে এবার আগত নতুন মরশুম থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কলকাতার এই প্রধান। সেজন্য, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার নির্ধারিত বাজেটের অনেকটাই বাড়িয়ে দল গঠনের কাজে নেমেছিল ইমামি ম্যানেজমেন্ট।

পাশাপাশি পুরোনো কোচ বদল করে নতুন কোচ এনে সমস্ত কিছু ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা ও করা হয় তাদের তরফে। সেইমতো বেঙ্গালুরু এফসি দলের প্রাক্তন আইএসএল জয়ী কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। গত এপ্রিলের শেষের দিকে সেইকথা সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় ক্লাবের তরফ থেকে। যারফলে, আগামী দুইটি মরশুমের জন্য দলের দায়িত্ব সামলাবেন এই স্প্যানিশ কোচ।

শেষ মরশুমে ডেনমার্কের একটি প্রথমসারির ফুটবল দলের সহকারীর দায়িত্ব পালন করলেও পুনরায় ভারতে আসতে যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন কুয়াদ্রাত। তাই খুব একটা সমস্যা হয়নি লাল-হলুদের। প্রথমদিকে দলের সহকারী কোচ বিনো জর্জের পাশাপাশি ম্যানেজমেন্টের সহায়তায় খেলোয়াড় বাছাই করার কাজ শুরু হলেও পরবর্তীকালে নিজের একটি উইশ লিস্ট পাঠান এই স্প্যানিশ কোচ। সেইমতো দলে আনা হয় নিশু কুমার থেকে শুরু করে মন্দাররাও দেশাই, প্রভসুখন গীল সহ অন্যান্য তারকা ফুটবলারদের।

একইভাবে বিদেশি ফুটবলার চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ও জোর দেওয়া কুয়াদ্রাতের পছন্দের দিকে। সেইমতো দলে সাইন করানো হয় হায়দরাবাদ এফসির তারকা ফুটবলার জাভিয়ের সিভেরিও তোরো থেকে শুরু করে বোরহা হেরেরা এবং ওডিশা এফসির প্রাক্তন ফুটবলার সাউল ক্রেসপোকে। এছাড়াও গত মরশুমের তারকাদের মধ্যে দলে রয়েছেন ক্লেটন সিলভা ও ইভান গঞ্জালেসের মতো ফুটবলার।

বর্তমানে ভিসাজনিত সমস্যার দরুন বিদেশি ফুটবলারদের আসতে সমস্যা দেখা দিলেও, অনেক আগেই শহরে এসে গিয়েছেন দেশীয় ফুটবলাররা। গত কয়েকদিন আগে কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত সহ তার এক সহকারী শহরে আসলেও এখনো ভিসাজনিত সমস্যার জন্য বিদেশেই রয়ে গিয়েছেন আরেক কোচ। তবে অনেক আগে থেকেই জুনিয়র দলের কোচ তথা কুয়াদ্রাতের দেশীয় সহকারী বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন চালিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কুয়াদ্রাত শহরে আসতেই নিজের দায়িত্বে খেলোয়াড়দের নিয়ে শুরু করলেন অনুশীলন। তবে এবার অনুশীলন মাঠ নিয়ে দেখা দিল সমস্যা।

শোনা যাচ্ছে, এবার নাকি আর যুবভারতীতে অনুশীলন করতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল দল। তার পরিবর্তে রাজারহাটের সেন্ট্রাল অফ এক্সিলেন্সে অনুশীলন করতে হবে লাল-হলুদের সিনিয়র দলকে। অন্যদিকে নিজেদের ঘরের মাঠে অনুশীলন চালাবে জুনিয়র দল। কিন্তু কেনো এমন সিদ্ধান্ত? আসলে আগত ডুরান্ড কাপের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে। তাই আপাতত রাজারহাটেই চালাতে হবে দলের অনুশীলন।