সন্তোষ ট্রফির সময় রাতারাতি প্রচারের আলোকে উঠে এসেছিলেন বিনো জর্জ। কেরালা এক ঝাঁক প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলারকে গড়ে তুলেছিলেন তিনি। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। বিনো জর্জকে (Bino George) ক্লাবে নিয়ে আসা হয় কোচ করে। বিনো জর্জ এখন বুঝিয়ে দিচ্ছেন, কেন তাঁর ওপর ভরসা করেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)।
East Bengal: মোটা টাকার বিনিময়ে আপুইয়াকে নিলেও কি লাভ হবে ইস্টবেঙ্গলের ?
বিনো জর্জ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দায়িত্বে আসার পর স্কোয়াডে এসেছেন বহু অখ্যাত কিন্তু প্রতিভাধর ফুটবলার। তৃণমূল স্তরে বিনো জর্জের কাজ করার অভিজ্ঞতা বেশি। ইস্টবেঙ্গলের আগে একাধিক ক্লাবের দায়িত্ব সামলেছেন। ইস্টবেঙ্গলে তাঁকে জোড়া দায়িত্ব সামলাতে হয়। সিনিয়র দলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রতের সহকারী এবং রিজার্ভ দলের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন বিনো।
Mohun Bagan: সবুজ-মেরুন জার্সিতে হ্যাটট্রিক, মোহনবাগান ম্যাচে ৬ গোল
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগে ইস্টবেঙ্গলের যে দলটি ফাইনালে পৌঁছেছে, সেই দলের একাধিক ফুটবলার বিনো নিজে পছন্দ করে এনেছেন। দক্ষিণ ভারত থেকে একাধিক খেলোয়াড়কে লাল হলুদ শিবিরে নিয়ে এসেছেন তিনি। বিষ্ণু পিভি ফাইনাল ম্যাচেও গোল করেছেন। লিগে বিনোর এই ছাত্রের নামের পাশে রয়েছে বেশ কিছু গোল, দর্শনীয় গোলও রয়েছে। এছাড়াও বলতে হয় অমন সিকে, জোসেফ জাস্টিন, অভিষেক কুঞ্জমরা বেড়ে উঠছেন বিনোর পর্যবেক্ষণে।
Apuia: আপুইয়াকে দলে টানতে আসরে মোহন-ইস্ট, ব্যর্থ হবে লাল-হলুদ ?
বিনো জর্জেরও নিন্দুকের সংখ্যা কম নয়। কলকাতার ক্লাবে বাঙালি ছেলেদের বদলে দক্ষিণী ফুটবলারদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, এমন কথাও ময়দানে শোনা যায়। দিন শেষে সাফল্য বা ‘সাকসেস’টাই আসল। ইস্টবেঙ্গল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগে সাফল্যের দোরগোড়ায়। হাতে আর এক ম্যাচ বাকি। জিতলেই ট্রফি।
গতকালের ম্যাচে মুথুট এফএ-র বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও জয় অর্জন করেছে ইস্টবেঙ্গল। ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফলাফল ছিল ৩-৩। পরে পেনাল্টি শ্যুট আউটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে চলে যায় ইস্টবেঙ্গল। ফাইনাল ম্যাচে লাল হলুদের প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি।