মোহনবাগানের অভ্যাস আছে, ডার্বি প্রসঙ্গে কী বলছেন দেবব্রত সরকার?

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের ডার্বি ম্যাচ খেলা নিয়ে উত্তপ্ত কলকাতা ময়দান। পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী গতকাল নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্চল স্টেডিয়ামে কলকাতার দুই প্রধান তথা…

East Bengal official Debabrata Sarkar addressing the press conference

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের ডার্বি ম্যাচ খেলা নিয়ে উত্তপ্ত কলকাতা ময়দান। পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী গতকাল নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্চল স্টেডিয়ামে কলকাতার দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস দলের মধ্যে ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও গত কয়েকদিন আগে থেকেই ম্যাচ খেলতে অস্বীকার করতে শুরু করে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

এক্ষেত্রে বঙ্গীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়ে তাদের তরফ থেকে জানানো হয় যে আগামী ২রা ডিসেম্বর আইএসএলের ম্যাচ থাকার দরুণ তাদের পক্ষে দল নামানো সম্ভব নয়। তবে তাদের এমন যুক্তিকে তোয়াক্কা না করেই নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল আইএফএ। পরবর্তী সময়ে বঙ্গীয় ফুটবল সংস্থার তরফ থেকে অনির্বাণ দত্ত বলেন, এইভাবে একটা ম্যাচের জন্য কোনোভাবেই লিগ আটকে থাকতে পারে না। তাহলে পরবর্তীতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্পনসরশিপ খোঁজার ক্ষেত্রে ও দেখা দেবে সমস্যা। এক কথায় বলতে গেলে নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল আইএফএ।

অপরদিকে এই ম্যাচ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একের পর এক ইমেল আইএফএকে পাঠাতে থাকে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। যেখানে এই ডার্বি ম্যাচের বিকল্প দিন নির্ধারনের জন্য বিশেষ বৈঠকের আবেদন জানানো হয়। তবে ৩০ নভেম্বরের পরিবর্তে ম্যাচ যে অন্যদিন করা সম্ভব নয় সেই কথাও জানিয়ে দেন অনির্বাণ দত্ত। যার ফলে, গতকাল নৈহাটি স্টেডিয়ামে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দল উপস্থিত থাকলেও দেখা মেলেনি মোহনবাগানের। যারফলে অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন যে তাহলে কি ওয়াকওভার পেয়ে গেল লাল-হলুদ শিবির। তবে সেটি এখনো সরকারিভাবে জানানো হয়নি। যতদূর খবর, পরিত্যক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে গতকালের এই ফুটবল ম্যাচ। এসবের মাঝেই এবার ডার্বি ম্যাচ নিয়ে মুখ খুললেন লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।

তিনি বলেন, আইএফএ’র তরফ থেকে আমাদের কাছে একটা সময়সূচী এসেছিল। এই ম্যাচ খেলার জন্য। সেইমতো আমাদের দল মাঠে উপস্থিত থেকেছে। যারা যায়নি তারাই একমাত্র ভালো করে জানবে যে তারা কেনো নৈহাটিতে দল পাঠায়নি। তাছাড়া আমাদেরকে লিগ শেষ করার কথাও বলা হয়েছে। মহামেডান স্পোর্টিং আগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেও এখনো তারা খেতাব হাতে পায়নি।

তবে এই ম্যাচের পরেই তা সমাপ্ত হত বলে জানানো হয়েছিল।সেইমতো আমাদের দল খেলতে গিয়েছিল। পাশাপাশি কলকাতা লিগের রানার্স প্রসঙ্গে মোহনবাগান সচিব দেবাশীষ দত্তকে পাল্টা খোঁচা দিয়ে লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা বলেন, তিনি তো রেকর্ড গুলি হয়ত ভালো করে দেখেননি। সেটা দেখলেই বুঝতে পারবে যে কোন দল কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। আর কারা কতবার ট্রফি জিতেছে। সেইসাথে মোহনবাগানের মাঠে না আসার অভ্যাস ও তুলে ধরেন দেবব্রত সরকার।