মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার পরেও যেন স্বস্তি নেই সবুজ-মেরুন শিবিরে। গতকালই ISL-এ নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জিতেছে সবুজ মেরুন। ম্যাচের প্রথমে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও ক্যামব্যাক করে শেষপর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় জোসে মলিনার দল। তবে ম্যাচ জিতলেও একটি গোল নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এদিন ৬১ মিনিটে অধিনায়ক শুভাশিষ বসুর করা গোলটিকে নিয়ে মোহনবাগানকে (MohunBagan SG) তোপ দাগেন নর্থইস্ট কোচ বেনালি। এদিন শুভাশিষের গোলটিকে ‘ফাউল’ হিসাবে নির্বাচিত করে সবুজ -মেরুন শিবিরকে কটাক্ষ করেন তিনি। গতকাল তাঁর এই মন্ত্যবের পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে সমাজমাধ্যমে। তবে বেনালির এই মন্তব্যে সেভাবে মুখ খোলেননি বাগান কোচ মলিনা।
গতকাল যুবভারতীতে ম্যাচের ৪ মিনিটে আলি বেমামার গোলে এগিয়ে যায় নর্থইস্ট ইউনাইটেড। এরপর মোহনবাগানের দীপেন্দু ১০ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান। ২৪ মিনিটে নর্থইস্টের আজারেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধ ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করে নর্থইস্ট। তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধকে ঘিরেই শুরু হয় সমস্যার সূত্রপাত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল না পেলেও ৬১ মিনিটে গোল পায় মোহনবাগান (MohunBagan SG)। এদিন গোললাইনের সামনে নর্থইস্টের গোলকিপার গুরমিত সিংয়ের হাত থেকে বলটি নিয়ে গোল করেন বাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু। গতকাল যুবভারতীতে বৃষ্টি হওয়ায় বলটা গুরমিতের হাত থেকে স্লিপ করে যায় এবং শুভাশিস সেই মুহূর্তেই গোল করেন। আর এখানেই অসন্তুষ্ট হয়েছেন নর্থ ইস্ট কোচ বেনালি। তাঁর মতে গুরমিতের হাতে মেরে বলটা শুভাশিস গোলে ঠেলেছেন। এটা ফাউল। ভিএআর না থাকার এই গোলের অ্যাডভান্টেজ পায় মোহনবাগান। এদিন ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে একই কথা বলে মোহনবাগান এবং ম্যাচ রেফারিদের ওপর অসহযোগিতার ‘তীর’ নিক্ষেপ করেছেন নর্থ ইস্ট কোচ। এই গোলটির নিন্দা করে তিনি আরও বলেন,” গোলটি সঠিক নয়। রেফারিদের আরও সতর্ক থাকা উচিত।”
Mohun Bagan SG: দিমির থেকে পিছিয়ে জেমি! মূল্য ১৩ কোটি
প্রসঙ্গত এর আগে আরো একবার আইএসএলে রেফারিদের তীব্র সমালোচনা করেন বেনালি। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধেও এক ম্যাচে একটি গোল নিয়ে ইন্ডিয়ান ফুটবল এসোসিয়েশনের ওপর চড়াও হন তিনি। এদিন ম্যাচের ষাট মিনিটের পর উইং থেকে একটি বল আসে গুরমিতের দিকে। তিনি লাফিয়ে বলটা ধরেন। বলটা ধরলেও নিজের হাতে রাখতে পারেননি। তিনি পড়ে যান ও বলটা তাঁর সামনে পড়ে ড্রপ খায়। গোল করতে পেত্রাতোস এলেও তিনি বল স্পর্শ করতে পারেননি। এরপর গুরমিত উঠে বলটা গ্রিপ করেন। সেই সময় শুভাশিস বলে লাথি মারেন ও বল গোললাইন পার করে। আর রেফারি গোল হওয়ার বাঁশি বাজিয়ে দেন। তবে এই গোল নিয়ে বিতর্ক হলেও হাতে চোট পেয়েছেন গুরমিত। তাই পরবর্তী ম্যাচে তাঁর খেলা নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে এদিন। সবমিলিয়ে এইদিন মোহনবাগানের (MohunBagan SG) গোল নিয়ে বিতর্ক হলেও, ভিআর ব্যবস্থা এবং রেফারিদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।