গতবারের আইএসএলে দলের ভরাডুবির পর থেকেই রীতিমতো নড়চড়ে বসেছে লাল-হলুদ (East Bengal) কর্তারা। টুর্নামেন্ট শেষ হতেই দলের ইনভেস্টর ইমামির সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাবেক কর্তারা। ঠিক হয় এবারের সুপার কাপের পরেই বদলে ফেলা হবে দলের কোচ। পাশাপাশি নতুন করে সাজানো হবে গোটা দল।
কিন্তু কে হবেন দলের নতুন কোচ, সেই নিয়ে বেশকিছু দিন জল্পনা কল্পনা চলার পর অবশেষে গত মাসের ২৫ তারিখ নিজেদের নতুন কোচের নাম ঘোষণা করা হয় ইস্টবেঙ্গলের তরফে থেকে। তবে এখানেই শেষ নয়। দলে নতুন কোচ চূড়ান্ত করার পাশাপাশি বেশকিছু ভারতীয় ফুটবলারের সাথে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলে লাল-হলুদ। যাদের মধ্যে নন্দকুমার শেখর থেকে শুরু করে শোনা যেতে থাকে দলের পুরোনো সৈনিক হরমনজোত সিং খাবরার নাম।
এছাড়াও শোনা যাচ্ছিল, চেন্নাইন এফসির ৪ ভারতীয় ফুটবলারের সঙ্গে ও নাকি কথাবার্তা শুরু করেছে ইমামি ম্যানেজমেন্ট। যাদের মধ্যে ছিলেন রহিম আলী ও আভাষ থাপার মতো আরো কয়েকজন ফুটবলার। তবে বিদেশি বাছাই করে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোচের উপরেই বিষয়টি রাখার কথা শোনা গিয়েছিল। তবে নতুন কোচ এসে যাতে একটি শক্তিশালী ভারতীয় ব্রিগেড পেতে পারেন তারই প্রয়াস ছিল দলের কর্তাদের মধ্যে। সেজন্য একটা সময়, চেন্নাইয়ের ম্যাচে মাঠেই উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল ইমামি কর্তা দেবব্রত মুখোপাধ্যায় কে। পরবর্তীতে ম্যাচের শেষে দলের প্রাক্তন কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের সাথেই ফিরে এসেছিলেন তিনি। তবে এবার আগামী মরশুমের জন্য চেন্নাইন থেকে খেলোয়াড় আনার ক্ষেত্রে উঠে আসল নয়া তথ্য।
উল্লেখ্য, গত আইএসএল শেষ হওয়ার আগে থেকেই চেন্নাইন এফসির অন্যতম ভরসাযোগ্য ফরোয়ার্ড রহিম আলীর দিকে নজর রেখেছিল আইএসএলের একাধিক ক্লাব। যাদের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল সহ উঠে আসতে শুরু করেছিল কেরালা ও গোয়ার মতো শক্তিশালী ক্লাবগুলির নাম। বর্তমানে সবাইকে পিছনে ফেলে তাকে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তার এজেন্টের সাথে ও নাকি একাধিকবার আলোচনায় বসেছে লাল-হলুদ। তবে রহিম আলী কে ছাড়ার ক্ষেত্রে ট্রান্সফার ফি হিসেবে প্রায় ১ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে চেন্নাইন ম্যানেজমেন্টের তরফে। তাই শেষ পর্যন্ত এই তরুন ফরওয়ার্ডের আদৌ লাল-হলুদ জার্সি পড়া হয় কিনা সেটাই দেখার।