Qatar WC : ঝলমলে কাতার বিশ্বকাপে হাজার হাজার শ্রমিকের বেতন নেই

ঝাঁ চকচকে বিশ্বকাপ ফুটবলের অন্ধকার দিক উঠে আসছে। কাতারে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপে (Qatar WC) কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিকের বেতন হচ্ছেনা। বিভিন্ন দেশ থেকে কাতারে…

ঝাঁ চকচকে বিশ্বকাপ ফুটবলের অন্ধকার দিক উঠে আসছে। কাতারে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপে (Qatar WC) কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিকের বেতন হচ্ছেনা। বিভিন্ন দেশ থেকে কাতারে কাজ করতে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন শ্রমিকরা। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) জানাচ্ছে, শ্রমিকদের বেতন বকেয়া রাখা চলবে না।

  • কাতারে বিশ্বকাপ শুরু ২০ নভেম্বর
  • দশ হাজারের বেশি শ্রমিকের বেতন হয়নি
  • শয়ে শয়ে শ্রমিকের মৃত্যুর খবর চেপে রাখা হচ্ছে

বিস্তারিত পড়ুন:

সময় এগিয়ে আসছে। ২০ নভেম্বর বিশ্বকাপের  আয়োজক দেশ কাতার ও ইকুয়েডর খেলতে নামবে। ওই দিনই শুরু ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধ। কাতারের বিপুল আর্থিক ক্ষমতা ও পরিকাঠামো চমকে দিচ্ছে বিশ্ববাসীকে। আরব দুনিয়ার দেশ কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবলের জৌলুস যেমন, আছে তেমনই অন্ধকার দিক।

AFP জানাচ্ছে, কাতারে বিশ্বকাপের পরিকাঠামো গড়তে যাওয়া হাজার হাজার শ্রমিকদের এখনো বেতন বকেয়া।

ILO জানাচ্ছে, বেতন মিলছেনা এমন বলে কাতারে কাজ করা শ্রমিকরা ৩৪,৪২৫টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অনলাইনে এই অভিযোগ জমা করা হয়েছে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছে কাতার সরকারকে।

ILO জানিয়েছে, শ্রমিকরা যে সব অভিযোগ করছেন সেগুলি মূলত বকেয়া বেতন এবং চুক্তি শেষের সুবিধা না পাওয়ার বিষয়ে। অভিযোগও এসেছে, শ্রমিকদের বাৎসরিক ছুটি মঞ্জুর করা হয়নি। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে আন্তর্জাতিক শ্রম ট্রা়ইব্যুনাল শ্রমিকদের পক্ষে রায় দেয়।

BBC জানাচ্ছে, বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে নাম ওঠার পরই কাতার সরকার বিপুল বিনিয়োগ করে ফুটবল প্রতিযোগিতার জন্য। কাতারের রাজধানী শহর দোহা সহ দেশটির সর্বত্র শুরু হয় বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম ও আনুষঙ্গিক পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ। এই কাজ করতে নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার শ্রমিক বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে কাতারে কাজ করতে এসেছেন। অত্যন্ত নিম্নমানের জীবনযাত্রায় তারা কাজ করছেন। শয়ে শয়ে শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, কাতারে বিশ্বকাপের জন্য কর্মরত কতজন শ্রমিক মারা গেছেন তার সঠিক হিসেব জানাচ্ছে না দেশটির সরকার৷ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে ফিফা যেন তহবিল গঠন করে তার দাবি জানানো হয়েছে।