কলকাতা: মাঠে নিশ্চল অবস্থায় পড়ে ছিলেন মেসারার্স ক্লাবের এক ফুটবলার। ছুটে এসেছিলেন দুই দলের ফুটবলাররা। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল খেলা। সুরুচি সংঘ বনাম মেসারার্স ক্লাবের ম্যাচ (CFL 2024) চলাকালীন গুরুতর চোট পেয়েছিলেন সুদীপ্ত মুর্মু। মাঠে প্রাথমিক শুশ্রুষার পর নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
ফুটবল বডি কন্ট্যাক্ট গেম। ফুটবল মাঠে খেলতে গিয়ে চোট আঘাতের সমস্যা নতুন কিছু নয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি হয় গুরুতর। শনিবারের কলকাতা ফুটবল লিগের ম্যাচে তেমনই ঘটেছিল গুরুতর এক ঘটনা। এখন কেমন আছেন সুদীপ্ত মুর্মু?
এখনও অধরা শীর্ষ তিন, জর্জকে ওড়াতে মরিয়া বাগান ব্রিগেড
জানা গিয়েছেন সুদীপ্তর মাথার পিছনে আঘাত লেগেছিল। সেই আঘাত ছিল গুরুতর। হার্ট সচল থাকলেও মাঠে হয়ে গিয়েছিলেন ‘ব্ল্যাক আউট’। সতীর্থ এক ফুটবলার নিজের জার্সি খুলে হাওয়া করছিলেন সুদীপ্তকে। ফুটবলারকে সুস্থ করে তোলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মেডিক্যাল স্টাফ। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যে ছিল না।
অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে ছিল। তড়িঘড়ি সেটা চলে আসে মাঠের ধারে। স্ট্রেচারে করে সুদীপ্ত মুর্মুকে তোলা হয় অ্যাম্বুলেন্সে। নিয়ে যাওয়া যায় ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামের কাছের এক হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, সেখানে সুদীপ্তকে দেওয়া হয়েছে স্যালাইন। হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন মেসারার্স ক্লাবের সুদীপ্ত মুর্মু। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখন তিনি সুস্থ, ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে।’
অলিম্পিক পদকে ‘ভেজাল’ ব্রোঞ্জ? টুর্নামেন্ট শেষের আগেই ফিকে তামাটে রং
শনিবার ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল মেসারার্স ক্লাব ও সুরুচি সংঘ। ২-১ ব্যবধানে জিতে পুরো পয়েন্ট অর্জন করেছে সুরুচি। ৯০+১ মিনিটে গোল করে ম্যাচের ফলাফল বদলে দেন জয়দীপ সিং। এদিনের ম্যাচে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল মেসারার্স ক্লাব। লিজো ফ্রান্সিসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মেসারার্স। প্রথমার্ধে এক ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর খেলায় ফিরে আসে সুরুচি সংঘ। বিরতির পর দু’টো দুর্দান্ত গোল। সুরুচিকে সমতায় ফেরান আবু সুফিয়ান। চলতি মরসুমে এই বঙ্গ সন্তান দারুন ফর্মে রয়েছে। একের পর এক চোখ ধাঁধানো গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড। এদিনের ম্যাচেও দূর পাল্লার শটে করলেন দৃষ্টি নন্দন গোল। ম্যাচের নির্ণায়ক গোলটি আসে ৯০+১ মিনিটে।