Budget 2024: ক্রীড়াতে বরাদ্দের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা

Budget 2024: ২০৩৬ অলিম্পিকের জন্য ভারতের বিড করার অভিপ্রায় রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা করায় , ক্রীড়া ক্ষেত্রের স্টেকহোল্ডাররা আসন্ন বাজেটে মূলধনী ব্যয়ের উপর…

budget 2024 olympic bid

Budget 2024: ২০৩৬ অলিম্পিকের জন্য ভারতের বিড করার অভিপ্রায় রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা করায় , ক্রীড়া ক্ষেত্রের স্টেকহোল্ডাররা আসন্ন বাজেটে মূলধনী ব্যয়ের উপর উল্লেখযোগ্য জোর দেওয়া হতে পারে বলে আশা করছেন।

ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভারত ২০২৩ সালে এশিয়াড এবং প্যারা-এশিয়ান গেমসে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের সাক্ষী হয়েছে ৷ দেশটি ২০০টিরও বেশি পদক লাভ করেছে। অ্যাথলেট নীরজ চোপড়ার এবং গ্র্যান্ডমাস্টার আর প্রজ্ঞানান্ধার মতো ক্রীড়াবিদরা বিশ্বের মঞ্চে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনা প্রদর্শন করেছেন।
এখন, যেহেতু ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকের জন্যও প্রত্যাশা তৈরি হচ্ছে, ক্রীড়া ক্ষেত্রের বাজেটের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে, সম্ভবত তহবিল বরাদ্দের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে যেটা দুইঅঙ্কের অর্থাৎ অন্তত ১০ শতাংশ বৃদ্ধি হবে ৷

প্রধানমন্ত্রী মোদি , ২০৩৬ সালের অলিম্পিকের জন্য ভারতের বিড করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ৷ এরফলে ক্রীড়া জগৎ প্রত্যাশা করছে একটি বিদ্যমান ক্রীড়া সুবিধা স্থাপন ও আপগ্রেড করার জন্য মূলধনী ব্যয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হবে।

আহমেদাবাদকে হোস্ট সিটি হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে, নতুন সুবিধার জন্য শহরের একটি বড় অংশের পরিকল্পনা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গেমপয়েন্টের কো ফাউন্ডার তথা সিইও আদিত্য রেড্ডি ৷ তার উপর উপমহাদেশে ক্রীড়া পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য, রেড্ডি পরামর্শ দিয়েছেন, ক্রীড়া পরিষেবাগুলিতে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) হ্রাস করারও । এদিকে, তিনি দেখেছেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে বেসরকারী সংস্থাকে উৎসাহিত করা অপরিহার্য।

এই ক্ষেত্রের অগ্রগামীরাও উল্লেখ করেছেন, বিশেষ করে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে খেলাধুলার পরিকাঠামোয় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ প্রয়োজন। যুব কাবাডি সিরিজের সিইও ভিকাস কে গৌতম বলেছেন, “বর্তমান পরিকাঠামোর অভাব এবং আন্তর্জাতিক মানসম্মত কোচিং সুবিধার অনুপস্থিতির কারণে কোচদের প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল বরাদ্দ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা স্বীকার করা অপরিহার্য যে শুধুমাত্র সু-প্রশিক্ষিত কোচরাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ক্রীড়াবিদদের গড়ে তুলতে পারে৷”

এদিকে, ইউমুম্বার সিইও সুহেল চাঁদহোক, প্রতিভা সনাক্তকরণের উপর কৌশলগত ফোকাস আশা করছেন। আগের বছরের বাজেটে মোট ৩৩৯৭.৩২ কোটি টাকা বরাদ্দের সঙ্গে প্রায় ১১ শতাংশ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। যার মধ্যে খেলো ইন্ডিয়া মোট ১০৪৫ কোটি টাকা পেয়েছিল। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে, যার লক্ষ্য হল ভারতের ক্রীড়া সংস্কৃতিকে তৃণমূল স্তরে উন্নত করার ৷ ক্রীড়া ক্ষেত্রের উদ্যোক্তারা আশা করছেন, সরকার এই বছরের থেকে নির্ধারিত প্যারিস অলিম্পিকের আগে এই ক্ষেত্রটিকে উৎসাহিত করা চালিয়ে যাবে ৷

তেনজিং নিয়োগী, আলটিমেট খো খো-এর সিইও এবং লীগ কমিশনার জানিয়েছেন, তহবিল শুধুমাত্র ভারতকে একটি বহুমুখী খেলার দেশ হিসেবে গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করবে না বরং খেলাধুলায় অতিরিক্ত কর্পোরেট অংশগ্রহণ অর্জনের জন্য পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলের মাধ্যমে আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টির করবে।