ব্রিটিশ কোচ ডাস বাকিংহামের তত্ত্বাবধানে গত ফুটবল মরশুমে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে রনবীর কাপুরের মুম্বাই সিটি এফসি। কিন্তু সেমিফাইনালে তাদের পরাজিত হতে হয় বেঙ্গালুরু এফসির কাছে। তবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকার দরুন অনায়াসেই লিগ শিল্ড জয় করে এই ফুটবল দল। যারফলে, এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলে এই ভারতীয় ফুটবল দল। যা নিঃসন্দেহে বিরাট গর্বের।
তবে এফসি নাসাফ থেকে শুরু করে শক্তিশালী আল হিলালের মুখোমুখি হতে হয় রাহুল ভেকের মুম্বাইকে। সেই ম্যাচে পরাজিত হতে হলেও ঘরের মাঠে আল হিলালের বিপক্ষে ছাংতে-আপুইয়াদের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই যথেষ্ট নজর কাড়ে সকলের। এক্ষেত্রে ও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই ব্রিটিশ কোচের। তার সূচারু পরিকল্পনার দরুণ এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগেও যথেষ্ট ভালো স্থানে রয়েছে আইসল্যান্ডাররা। তবে মরশুমের শেষ পর্যন্ত আর থাকা হলনা এই দাপুটে কোচের।
আসলে, গত কয়েকদিন আগে মুম্বাই সিটিকে বিদায় জানিয়ে নিজের দেশে ফিরছেন বাকিংহাম। যা নিয়ে হতাশ মুম্বাই সিটির সমর্থকরা। জানা গিয়েছে তার পুরোনো ক্লাব তথা অক্সফোর্ড ইউনাইটেডের দায়িত্ব নিচ্ছেন বাকিংহাম। তাই মুম্বাই সিটির দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি ভেঙে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি এর সুবাদে ফিরে এসেছেন নিজের ক্লাবে। তবে মুম্বাই সিটি নিয়ে এখনো যথেষ্ট আবেগপ্রবন এই কোচ। নিজের একটি নোটে তিনি বলেন, ভারতে তথা মুম্বাইতে আমার সহকর্মীদের সাথে গতকাল একটি অনবদ্য যাত্রার সমাপ্তি ঘটল। আমরা একসাথে অনেক কিছু অর্জন করেছি। মুম্বাই দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেক ঐতিহাসিক মুহুর্তের সাক্ষী থেকেছি।
গত মরশুমে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকার সুবাদে লিগশিল্ড জয় পাওয়া থেকে শুরু করে পরবর্তীতে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো টুর্নামেন্ট ম্যাচ জয়। সব কিছুই ঘটেছে। সেগুলি নিয়ে এখনো ভাবলে কিংবা দলের ছেলেদের দাপুটে পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবলে এখনো যথেষ্ট উত্তেজিত হয়ে পড়ি।
তবে এখানেই শেষ নয়। মুম্বাই সিটির সাপোর্টিং স্টাফদের পাশাপাশি দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ও বিশেষ মন্তব্য করেন বাকিংহাম। তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে এমন ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার জন্য মুম্বাই সিটি দলের অগনিত সমর্থকদের থেকে শুরু করে স্টাফ ও দলের সকল ফুটবলারদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পাশে থাকার জন্য। বর্তমানে আমার দেশে ফিরে গেলেও মুম্বাই সিটি এফসিতে কাটানো মুহুর্ত গুলি সর্বদা আমার মনের মধ্যে বিরাজ করবে।