ATK Mohun Bagan: কৃষ্ণের বাঁশির সুরে ঘুরে দাঁড়াবে দল, বিশ্বাসী সবুজ-মেরুন সমর্থকরা

Mohun Bagan supporters are relying on Roy Krishna

Sports desk: ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইস্তফা ATK মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) হেডকোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসে’র। এমন ডামাডোলের মাঝেও সবুজ মেরুন সমর্থকরা আত্মবিশ্বাসী ফিজিয়ান “গোল্ডেন বয়” রয় কৃষ্ণ নিজের নামের প্রতি সুবিচার করবেন এবং গোল করে মহার্ঘ্য “তিন পয়েন্ট” ঘরে তুলে আনবেন।

Advertisements

গত ১৬ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন সবুজ মেরুন স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণ। কিন্তু বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচের আগে হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচের ১২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেন রয় কৃষ্ণ। কিন্তু এই ম্যাচের পর থেকেই ছন্দে নেই ATKমোহনবাগানের গোলমেশিন রয় কৃষ্ণ। মন খারাপ সবুজ মেরুন সমর্থকদের।

   

মন খারাপ হলেও রয় কৃষ্ণ গোল পেলেই প্রিয় দল চলতি টুর্নামেন্টের ১১ তম রাউন্ডের শেষ চার ম্যাচে প্লে অফে চলে যাবে, এমনটাই বিশ্বাস সবুজ মেরুন সমর্থকদের।

গোল না পাওয়ায় রয় কৃষ্ণ’র কনফিডেন্স লেভেল একটু তলানিতে থাকলেও ফিজিয়ান গোল্ডেন বয় জাত ফুটবলার। সবুজ মেরুন সমর্থকরা এককথায় স্বীকার করে নিচ্ছে “ফর্ম অস্থায়ী, কিন্তু ফুটবলারের জাত(রয় কৃষ্ণ) চিরস্থায়ী”। বিপক্ষ দল রয় কৃষ্ণকে আটকাতে ম্যাচের ভিডিওগ্রাফি বিশ্লেষণ করে ছক কষবে এটাই স্বাভাবিক।

Advertisements

ঠিক এই জায়গাতেই চ্যালেঞ্জ রয় কৃষ্ণ’র কাছে, কীভাবে বিপক্ষ দলকে বোকা বানিয়ে, ম্যাচ চলাকালীন তাদের বিরুদ্ধে নিজের (রয় কৃষ্ণ) স্কিলের ভেল্কিতে জাত চিনিয়ে ফালাফালা করে বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দিয়ে আটকানোর সমস্ত কৌশলকে “বুড়ো আঙুল চুষে” আলিঙ্গনের সেরা মুহুর্ত।

আর একবার গোল পেয়ে গেলেই রয় কৃষ্ণকে থামানো মুশকিল শুধু নয়, “ডন কো পকরনা মুমকিন নেহি, না মুমকিন হে” যথোপযুক্ত হয়ে উঠবে চলতি আইএসএল টুর্নামেন্টে রয় কৃষ্ণ’র ক্ষেত্রেও “না মুমকিন” বিপক্ষ দলের কাছে, রয় কৃষ্ণকে ঘিরে ছক কষার আতঙ্কে।

তাই আশা ছাড়তে নারাজ সবুজ মেরুন সমর্থকরা রয় কৃষ্ণকে নিয়ে যে, তাদের প্রিয় দলের অন্যান্য ফুটবলারেরা ম্যাচে ঠিকভাবে পাসিং ফুটবল খেলতে পারলেই কৃষ্ণ বাঁশির সুরের জাদুতেই প্লে অফে যাওয়ার টিকিট জোগাড় হয়ে যাবে।