একটা জয় একটা টিমের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে শতগুণ৷ শনিবার কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে গতবারের ফাইনালিস্ট কেরালা ব্লাস্টার্সকে (Kerala Blasters) ২-১ গোলে হারানোর পর এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) খেলোয়ার-কোচের বডি লাঙ্গুয়েজই পালটে গিয়েছে৷ কারণ পিছিয়ে গিয়েও ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে প্লে-অফে জায়গা পাকা করে নিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড৷ তাই পরের ম্যাচ ডার্বি নিয়েই মাথায় ভাবনা ঢুকে গিয়েছে এদিন জোড়া গোল করা কার্ল ম্যাকহিউ (Carl McHugh) এবং দলের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দোদের (Juan Ferrando)৷ এদিন খেলা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে তারই আভাস দিয়েছেন ম্যাকহিউ-ফেরান্দো৷
আরও পড়ুন: Carl McHugh: কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জোড়া গোল বান্ধবী ওরলাকে উৎসর্গ করল ম্যাকহিউ
এদিন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ জয় নিয়ে দলের কোচ হুয়ান ফেরান্দো বেজায় খুশি। তাঁর ধারণা, এই জয় আসন্ন ডার্বিতে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলবে। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “এ বার আমরা ডার্বি নিয়ে ভাবব। তবে আমাদের কোনও চাপ নেই। আমরা পেশাদার। আমরা ভাল খেললে এই রকম খুশি হওয়ার মতো ফলই হবে। পরের ম্যাচে আমরা তিন নম্বরে ওঠার সুযোগ পাব। আশা করি, দলের ছেলেরা এই কথা মাথায় রেখেই এই ম্যাচে নামবে। ডার্বি বলে আলাদা করে না ভাবাই ভাল। জানি, কলকাতায় ডার্বিতে অসাধারণ একটা পরিবেশ তৈরি হয় স্টেডিয়ামে। এই পরিবেশটা হয়তো আমাদের শেষ ম্যাচ থেকেও তিন পয়েন্ট পেতে সাহায্য করবে। আমাদের এখনও তিন পয়েন্ট অবশ্যই দরকার”।
আরও পড়ুন: Stephen Constantine: ডার্বির আগে মুম্বই ম্যাচেও একাধিক চোট ভাবাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল কোচকে
ডার্বি-ভাবনা ঢুকে পড়েছে এদিনের জোড়া গোলদাতা ম্যাকহিউয়ের মনেও। শনিবারের ফিরত ডার্বি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, “ডার্বি মানেই কঠিন ম্যাচ। আমি যখন থেকে এই ক্লাবে যোগ দিয়েছি, তখন থেকেই ডার্বিতে আমাদের রেকর্ড খুবই ভাল। সেটাই বজায় রাখতে চাই। প্রস্তুতিও সে ভাবেই নেওয়া হবে। ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন ভাল খেলোয়াড় আছে। তবে ওদের দিকে বেশি না তাকিয়ে নিজেদের দিকে তাকানোই ভাল। এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেকটা আত্মবিশ্বাস ও শক্তি পেয়ে গেলাম। শুধু মনসংযোগটা ঠিকঠাক রাখতে হবে”।
আরও পড়ুন: Asia Cup: এশিয়া কাপে ভারত-পাক ম্যাচ না হওয়ায় বড় সংকট! টুর্নামেন্টের উজ্জ্বলতা ম্লান হতে পারে
চোট সারিয়ে এদিন মাঠে ফেরা হুগো বুমৌস ৪৫ মিনিটের বেশি খেলতে পারেননি। শুধু চোট নয়, সম্ভবত তিনি শারীরিক ভাবেও অসুস্থ বলে মনে হয়েছে। অন্তত কোচের কথা শুনে তেমনই মনে হল। ফেরান্দো বলেন, “একজন খেলোয়াড়ের চোট হওয়ার পর সে দিন কুড়ি মাঠের বাইরে থাকে। বুমৌসের শরীরও ভাল নেই। তবু ও ৪৫ মিনিট খেলেছে। শারীরিক ভাবে এর বেশি খেলা ওর পক্ষে সম্ভব ছিল না”। সম্ভবত ডার্বির কথা ভেবেই বুমৌসকে বাড়তি ঝুঁকির মুখে ফেলেননি তিনি।