সেমিফাইনালের প্রথম লেগে লাল কার্ড দেখে মাঠে ছেড়েছিলেন আর্মান্দো সাদিকু (Armando Sadiku)। খেলতে পারবেন না দ্বিতীয় লেগে। তিনি থাকলেও রয়েছেন জেসন কামিন্স।
আর্মান্দো সাদিকু কখন ভালো খেলবেন আর কখন তাঁর অফ ফর্ম বোঝা দায়। সহজ সহজ গোলের একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছেন। তেমনই করেছেন ভালো কিছু গোল। মরসুমের শুরুর দিক থেকে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছিলেন। অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাস কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছুটা ছন্দে ফিরেছিলেন তিনি। করেছিলেন গোল। গোল করেছেন বটে, তবে চেনা ফর্মে ফিরেছিলেন এমনটা বোধহয় বলা যায় না। সাদিকুর মতো বড় মাপের ফুটবলারের কাছ থেকে প্রত্যাশা আরও একটু বেশি।
হুয়ান ফেরান্দো বেশ কিছু ম্যাচে সাদিকু, জেসন কামিন্স দু’জনকেই এক সঙ্গে আপ ফ্রন্টে রেখে সাজিয়েছিলেন প্রথম একাদশ। হাবাস দু’জনকে মাঠে নামান ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। প্রথম একাদশে কখনও কামিন্স তো কখনও সাদিকু। সেমিফাইনালে প্রথম লেগে ম্যাচের শুরু থেকে মাঠে ছিলেন সাদিকু। দ্বিতীয় লেগে কার্ড সমস্যায় খেলতে পারবেন না। প্রথম একাদশে তাঁর জায়গায় ঢুকতে পারেন জেসন কামিন্স।
সাদিকুর থেকে কামিন্সের গোলের প্রতি অবদান কিছুটা বেশি। জেসন কামিন্স মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়ে ২১ ম্যাচে করেছেন ১০ গোল। আর্মান্দো সাদিকু ২২ ম্যাচ খেলে করেছেন ৮ গোল। সাদিকুর থেকে জেসন দু’টি গোল বেশি করেছেন। গোল করানোর ক্ষেত্রেও সাদিকুর থেকে কামিন্স এগিয়ে রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার করেছেন দু’টি অ্যাসিস্ট।