Aritra Ghosh: বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করছে দু’ম্যাচে চার গোল করা অরিত্র

প্রথমে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে, তারপরের ম্যাচে বিএসএস- এর বিরুদ্ধেও জোড়া গোল। কলকাতা ফুটবল লীগে দাগ কাটলেন এরিয়ান ক্লাবের (Aryan FC) আরও একজন ফুটবলার। তিনি অরিত্র ঘোষ (Aritra Ghosh)।

Aritra Ghosh

প্রথমে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে, তারপরের ম্যাচে বিএসএস- এর বিরুদ্ধেও জোড়া গোল। কলকাতা ফুটবল লীগে দাগ কাটলেন এরিয়ান ক্লাবের (Aryan FC) আরও একজন ফুটবলার। তিনি অরিত্র ঘোষ (Aritra Ghosh)। বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন তিনি আজ পূরণ করছেন যোগ্য সন্তান হিসেবে।

কলকাতা ময়দানের তিন প্রধানের পাশাপাশি এবারের কলকাতা ফুটবল লীগে মনে রাখার মতো একাধিক মুহূর্ত উপহার দিয়েছে এরিয়ান ক্লাব। সম্ভাবনাময় এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে খেতাব জয়ের দৌড়ে রয়েছে তারা। “কোনো ক্লাবকেই ছোটো মনে করি না। যে দলে খেলবো সেটাই আমার কাছে বড় ক্লাব”, বলেছেন জোড়া গোল করে দলকে জেতানো অরিত্র ঘোষ।
হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলার অনুপ্রাণিত হয়েছেন নিজের বাবাকে দেখে। অরিত্র জানিয়েছেন, বাবা শান্তি রঞ্জন ঘোষ কলকাতার

মাঠে এক সময় খেলেছেন রেনবোর হয়ে। বড় দলের খেলার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পারেননি। তাই ছেলেকে সর্বদা উৎসাহ যুগিয়ে চলেছেন ভালো করে খেলার জন্য। অরিত্রর কথায়, “বাবা, মা সময় আমার পাশে রয়েছে। পড়াশুনায় খুব একটা ভালো ছিলাম না। তাই খেলার ব্যাপারে বাড়ির লোক সব সময় উৎসাহ যুগিয়েছে আমাকে। বাবা, মা কোনো দিন অভাব টের পেতে দেয়নি।”

জাঙ্গিপাড়া থেকে নিয়মিত কলকাতার মাঠে যাতায়াত। ভোর ভোর বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। মা টিফিন বানিয়ে দেন। অরিত্র ঘোষের লড়াইটা সহজ নয়। পরিবারের সদস্যরা যেমন পাশে রয়েছেন, তেমনই পাশে রয়েছে উত্তরপাড়া নেতাজী ব্রিগেড। উত্তরপাড়া নেতাজী ব্রিগেডের সাহায্যে কলকাতার মাঠে অরিত্র ঘোষের আত্মপ্রকাশ। এরিয়ান ক্লাবের হয়ে খেলার আগে উয়াড়ির হয়ে ফুটবল প্রেমীদের নজর কেড়েছিলেন তিনি। “সঞ্জয় কাকু (সঞ্জয় চক্রবর্তী, উত্তরপাড়া নেতাজী ব্রিগেডের প্রধান), শিলটুদা (হেড কোচ), কার্তিকদা (সহকারী কোচ), প্রসেনজিৎদা (প্রসেনজিৎ পাল, সিনিয়র ফুটবলার) আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করেন”, বলেছেন অরিত্র।

মরসুমের শুরুটা অবশ্য আশাপ্রদ ছিল না। গোড়ালির সমস্যা ভোগাচ্ছিল, তারপর বাইক অ্যাকসিডেন্ট। কাঁধের সমস্যার কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন মাঠের বাইরে। সেখান থেকে ফিরে এসে জোড়া গোলের নায়ক। জুনিয়র ফুটবলারদের জন্য অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস হয়ে উঠতে পারেন অরিত্র ঘোষ।