IPL: নাইটদের সাফল্য লুকিয়ে রাসেলের ছন্দে

দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চদশ আইপিএল। ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রহর গোনার মেয়াদটা দিন ছেড়ে নেমে এসেছে ঘণ্টায়। মেগা নিলামে সকলেই নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে। এবারই…

দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চদশ আইপিএল। ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রহর গোনার মেয়াদটা দিন ছেড়ে নেমে এসেছে ঘণ্টায়। মেগা নিলামে সকলেই নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে। এবারই প্রথম ১০ দলের আইপিএল আয়োজন হতে চলেছে। তাছাড়া করোনা পরবর্তী যুগে ফের ভারতের মাটিতে এই ক্রোড়পতি লিগ নিয়ে এবারও যেন উত্তেজনার পারদটা একটু বেশিই। তাই মেগা লড়াই শুরুর আগে বরং দেখে নেওয়া যাক দলগুলি কেমন হয়েছে, তাদের শক্তি-দুর্বলতা। প্রথমেই তিলোমত্তার প্রিয় দল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হয়ে যাক চুলচেরা বিশ্লেষণ।

পুরো দল

ভারতীয় ব্রিগেড: শ্রেয়স আয়ার, ভেঙ্কটেশ আয়ার, বরুণ চক্রবর্তী, নীতিশ রানা, শিভম মাভি, অজিঙ্কা রাহানে, রিঙ্কু সিং, শেলডন জ্যাকসন, উমেশ যাদব, বাবা ইন্দ্রজিৎ, অভিজিৎ তোমার, প্রথম সিং, রমেশ কুমার, অশোক শর্মা, রাসিখ দার, আমন খান, অনুকূল রয়।

বিদেশি ব্রিগেড: আন্দ্রে রাসেল, অ্যারন ফিঞ্চ, চামিকা করুনারত্নে, টিম সাউদি, মহম্মদ নবি, প্যাট কামিন্স, সুনীল নারিন, স্যাম বিলিংস।

সাফল্যের খতিয়ান: ২০১২ এবং ২০১৪, দু’বছরের চ্যাম্পিয়ন দল কেকেআর। শেষ মরসুমে অর্থাৎ ২০২১ সালে ফাইনালে উঠেও ট্রফি হাতছাড়া হয় নাইট যোদ্ধাদের। সন্তুষ্ট থাকতে হয় রানার্স আপ হয়েই।

শক্তি: নাইট ম্যানেজমেন্ট বরাবরই স্টারডমে বিশ্বাসী নয়। উলটে টিমগেমই তাদের মূল মন্ত্র। ব্যাটের পাশাপাশি বোলিং ডিপার্টমেন্টেও দারুণ ভারসাম্য রয়েছে দলে। অধিনায়ক শ্রেয়সের সাম্প্রতিক ফর্ম নাইট সমর্থকদের মুখে চওড়া হাসি ফোটাতে বাধ্য। তাছাড়া ভেঙ্কটেশ, বরুণদের মতো জাতীয় দলের সতীর্থরা শ্রেয়সের তুরুপের তাস। হালেফিলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নারিন যেভাবে মারকাটারি ব্যাটিং করেছেন, তাতে কলকাতার সমর্থকরা কিন্তু স্বপ্নে বিভোর।

দুর্বলতা: শুভমন গিল না থাকায় ওপেনিং জুটি নিয়ে ফের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটতে হবে নাইটদের। ভেঙ্কটেশের সঙ্গে নারিনকে ওপেনে ফেরানো হতে পারে। কিন্তু দু’জনই বাঁহাতি বলে কিছুটা চিন্তায় রয়েছে ম্যানেজমেন্ট। নীতিশ রানাকে দিয়ে ওপেন করালেও, একই সমস্যা থেকে যাবে। গত দুই মরসুম রাসেলকে একেবারেই চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। নাইটদের সাফল্যের চাবিকাঠি কিন্তু অনেকটাই নির্ভর করছে এই ক্যারিবিয়ান তারকার ওপর। দিল্লি ছেড়ে শিবিরে এসে শ্রেয়স কতটা দ্রুত নিজেকে মানিয়ে নেন, সেদিকে নজর থাকবে সকলের। তাছাড়া দিল্লি ক্যাপিটালসেও অধিনায়ক হিসাবে বিশেষ নজর কাড়তে পারেননি তিনি। ব্যাটার হিসাবে বড় ভরসা হলেও, ফলে অধিনায়ক শ্রেয়স কতটা ফলপ্রসূ হবেন, তা নিয়ে সন্দেহ থাকতে বাধ্য। বরুণ চোট পেলেও, নারিন-নবিরা তাঁর পরিবর্ত হতে পারবেন। কিন্তু মাভি চোট পেলে ভালো মানের ভারতীয় পেসার নেই দলে।

নজরে যাঁরা

শ্রেয়স আয়ার: নতুন সংসারে মানিয়ে নেওয়ায় প্রধান চ্যালেঞ্জ শ্রেয়সের। সেইসঙ্গে অধিনায়কত্বের চাপ কীভাবে সামলান, সেটাই এখন দেখার।

আন্দ্রে রাসেল: মেজাজে থাকলে একাই একশো। ব্যাট হাতে যেরকম বিধ্বংসী, সেরকম বল হাতেও দলকে সাহায্য করেন। নাইটদের দু’বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম কারিগর রাসেল। তবে শেষ দুই মরসুম ফর্মের ধারে-কাছেও ছিলেন না। এবার সেই পুরনো রাসেলকে দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন নাইট ভক্তরা।

সুনীল নারিন: সম্প্রতি বিপিএলে ব্যাট হাতে যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছেন, তা বিশ্বনন্দিত। আইপিএলে মিস্ট্রি স্পিনারের বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটও জ্বলে উঠবে, এই আশায় বুক বাঁধছে সমর্থকরা।

সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: ভেঙ্কটেশ আয়ার, অ্যারন ফিঞ্চ/টিম সাউদি, নীতিশ রানা, শ্রেয়স আয়ার, রাহুল ত্রিপাঠী, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, শেলডন জ্যাকসন, প্যাট কামিন্স, বরুণ চক্রবর্তী, শিবম মাভি।