Kolkata Derby: মোহনবাগানের পরাজয়ের সম্ভাব্য কিছু কারণ

সে সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো। সবাই যখন ধরে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল আবার ডার্বি (Kolkata Derby) হারতে চলেছে, তখনই বাজিমাত করল মশাল বাহিনী।

Durand

দুই ক্লাবের দল গঠনের মাঝে কয়েক কোটি টাকার পার্থক্য। মুঠো মুঠো টাকা খরচ করে স্কোয়াড গঠন করেছে মোহন বাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। আন্তর্জাতিক স্তরের নামী খেলোয়াড় রয়েছে স্কোয়াডে। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স? সে সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো। সবাই যখন ধরে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল আবার ডার্বি (Kolkata Derby) হারতে চলেছে, তখনই বাজিমাত করল মশাল বাহিনী।

প্রথম দলের ফুটবলারদের মাঠে নামানোর পরেও Durand ডার্বি হেরেছে মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট। আর্মণ্ড সদিকু, অনিরুদ্ধ থাপা, আনোয়ার অলি সহ নতুন তারকাদের মাঠে নামিয়েছিলেন বাগান কোচ। তবুও ম্যাচ হল ম্যাড়ম্যাড়ে। সদিকু গোটা খেলায় কী করলেন সে ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে। আক্রমণভাগের ফুটবলার কিন্তু আক্রমণ গড়ার ক্ষেত্রে সেই অর্থে ভূমিকা রাখতে পারলেন কই। খুব শ্লথ দেখিয়েছে তাকে। পাসিং এর ক্ষেত্রেও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি।

পরের দিকে মাঠে নামানো হয়েছিল জেসন কামিন্সকে। এ লীগের খেলা যারা দেখেন তারা এই অজি ফরোয়ার্ডের গতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনিও ম্যাচে নজর কাড়তে ব্যর্থ। AFC প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখে দল গঠন করেছে মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট। বড় লক্ষ্যের দিকে তাকালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে শনিবারের ম্যাচের গুরুত্ব ছিল না সেভাবে। তবুও ডার্বি। ধারেভারে প্রতিপক্ষের থেকে অনেক এগিয়ে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তারপরেও এই পারফরম্যান্স, এই রেজাল্ট!

প্রশ্ন উঠছে ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে। সপ্তাহ খানেক হল মোহনবাগানের ফুটবলাররা একসঙ্গে অনুশীলন করছেন। ফিটনেস কিংবা একের ওপরের সঙ্গে বোঝাপড়া, দুটো ব্যাপারেই ফুটবলারদের মধ্যে অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। আরো একটা সম্ভাবনার কথা কেউ কেউ বলছেন। সেটা হল পা বাঁচিয়ে খেলা। নিজেদের যতটা সম্ভব আড়াল করে পা বাঁচিয়ে খেলেছেন মোহনবাগানের ফুটবলাররা। আসলে এই ডার্বির ফলাফল অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত। তাই বিভিন্ন কারণ খোঁজার চেষ্টা।