ISL’র ম্যাচ স্থগিত করেই দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে AIFF- FSDL কর্তৃপক্ষ

ইন্ডিয়ান সুপার লীগের (ISL) সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২ অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম বাম্বোলিমে হায়দরাবাদ এফসি বনাম জামশেদপুর এফসি’র মধ্যে ম্যাচ নম্বর ৬৩ স্থগিত করার ঘোষণা করা হয়েছে…

match of ISL

ইন্ডিয়ান সুপার লীগের (ISL) সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২ অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম বাম্বোলিমে হায়দরাবাদ এফসি বনাম জামশেদপুর এফসি’র মধ্যে ম্যাচ নম্বর ৬৩ স্থগিত করার ঘোষণা করা হয়েছে প্রেস বিবৃতি করে৷

ওই প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জামশেদপুর এফসি দলের মাঠে খেলোয়াড় নামানোর অসুবিধা বিবেচনা করে লিগের মেডিকেল টিমের সাথে পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লিগ পরবর্তী তারিখে ফিক্সচারটি পরে জানানো হবে।

প্রেস বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, কোভিড-১৯ প্রটোকল মেনে বায়ো বাবোলে সমস্ত কর্মীদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার হিসাবে রয়ে গিয়েছে, এবং লীগ ও ক্লাবগুলি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করবে।

ইন্ডিয়ান সুপার লীগ (ISL) টুর্নামেন্টের সংগঠক যৌথভাবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এবং ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (FSDL)। গত রবিবার FSDL’র CEO মার্টিন বেইন ISL টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সমস্ত দলকে ইমেল করেছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের জেরে ম্যাচ স্থগিতকরণের ইস্যুতে।

ওই ইমেলে FSDL’র CEO উল্লেখ রয়েছে,”যদি ১৫ জন খেলোয়াড় একটি ম্যাচের জন্য উপলব্ধ না হয়, তাহলে লিগ চেষ্টা করবে এবং পরবর্তী তারিখে ম্যাচের সময়সূচী করার।” শুধুমাত্র কোনও ম্যাচ পুনঃনির্ধারণ সম্ভব না হলে, ওই ম্যাচ ৩-০ স্কোরলাইন ঘোষিত করা হবে”।

আগামী মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) ৬৪ তম ম্যাচ হওয়ার কথা ওডিশা এফসি বনাম নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মধ্যে। নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগে দুই প্রতিপক্ষ দলই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় প্রশ্নোত্তর পর্বে।অসমর্থিত সূত্রে খবর, নর্থইস্ট ইউনাইটেড নিজেদের প্রি ম্যাচ কনফারেন্স করবে না, এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই ভারতীয় ফুটবল মহলে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

একের পর এক ম্যাচ স্থগিত হয়েছে সম্প্রতি চলতি আইএসএল টুর্নামেন্টে। এমন আবহে চলতি লীগ দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়ে সংক্রমণের শিকল ভাঙার(break the chain) ইস্যুতে নেটিজেনদের সরব হতে দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। নেটিজেনদের মধ্যেও সংক্রমণের শিকল ভাঙা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। বলা হচ্ছে, ৩ সপ্তাহ বিরতি। তাদের (খেলোয়াড়দের) পরিবারের সাথে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। এবং ফলে আর ২ সপ্তাহের বায়ো বাবোলের কঠোর বিধিনিষেধের দরকার হবে না। বেশিরভাগ দেশই আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য ১ সপ্তাহের জন্য টিকা দিচ্ছে।

কিন্তু অসমর্থিত সূত্রে এমনও খবর যে, ISL’ এ অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়েরা চাইবে না ২ সপ্তাহ আবার বায়ো বাবোলের বিধিনিষেধ মেনে দিন যাপনে। সব মিলিয়ে এমন এক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়েও দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে এবং চরম উদাসীনতার পরিচয় রেখে চলেছে AIFF এবং FSDL কর্তৃপক্ষ।