ISRO: মহাকাশে ‘বিকিনি’ পাঠিয়ে নয়া ইতিহাস গড়বে ইসরো

আগামী বছর বিকিনি মহাকাশযান (Bikini Spacecraft) উৎক্ষেপণ করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। এই মহাকাশযানের ওজন ৪০ কেজি। এই মহাকাশযানটি বৃহত্তর পুনঃব্যবহারযোগ্য রি-এন্ট্রি মডিউল নিক্সের…

আগামী বছর বিকিনি মহাকাশযান (Bikini Spacecraft) উৎক্ষেপণ করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। এই মহাকাশযানের ওজন ৪০ কেজি। এই মহাকাশযানটি বৃহত্তর পুনঃব্যবহারযোগ্য রি-এন্ট্রি মডিউল নিক্সের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ। ইউরোপীয় স্টার্টআপ দ্য এক্সপ্লোরেশন কোম্পানির এই রি-এন্ট্রি যানটি একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে মহাকাশে পাঠানো হবে। ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হবে। জেনে নিন কী ISRO-এর নতুন বিকিনি মিশন, কেন চালু হচ্ছে, কী তথ্য পাওয়া যাবে তা থেকে।

মিশন বিকিনি কি?

ইউরোপিয়ান স্পেস স্টার্টআপ দ্য এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি মহাকাশে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। ইউরোপীয় স্টার্টআপ মহাকাশে ডেলিভারির ব্যবস্থা করতে চায়। আগামী বছরের জানুয়ারিতে এই মিশন চালু করা হবে। এই মিশন সফল হলে, এটি মহাকাশে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের পথ তৈরি করবে। সহজ ভাষায় বোঝা গেলে মহাকাশে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে। মিশনের সাফল্য মহাকাশে সস্তা ডেলিভারির পথ খুলে দেবে। এই মিশনের মাধ্যমে যে তথ্য ও উপাত্ত প্রাপ্ত হবে তা পুনঃপ্রবেশ এবং পুনরুদ্ধার প্রযুক্তি বিকাশে সহায়তা করবে।

মিশন কিভাবে সম্পন্ন করা হবে?

ইসরোর পিএসএলভি রকেট থেকে ইউরোপীয় মহাকাশযান বিকিনি উৎক্ষেপণ (Bikini Spacecraft) করা হবে। ইসরোর রকেট ইউরোপীয় মহাকাশযানটিকে পৃথিবীর ৫০০ কিলোমিটার উপরে নিয়ে যাবে এবং সেখান থেকে ছেড়ে দেবে। এর পরে এটি পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে। পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সময় বিজ্ঞানীরা অনেক ধরনের অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনা করবেন। বায়ুমণ্ডল অতিক্রম করলে তা সমুদ্রে পতিত হবে। এই মিশনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন মহাকাশে কোন কিছু নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কতটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

এই মিশনের মাধ্যমে বিশ্বে ভারতের মর্যাদা আরও একবার বাড়বে। প্রকৃতপক্ষে, আগে এই মিশনের দায়িত্ব ইউরোপীয় সংস্থা আরিয়ান স্পেসকে দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ভারতীয় নিউস্পেস কোম্পানি তা অর্জনে সফল হয়েছিল। আসলে, আরিয়ান স্পেসের রকেট যেটি দিয়ে বিকিনি মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল তা বিলম্বিত হচ্ছিল। তাই এটি চালু করার দায়িত্ব পেয়েছে ISRO।

মিশন কিভাবে কাজ করবে?

মিশনের জন্য পিএসএলভি রকেটের চতুর্থ পর্যায় অর্থাৎ PS4 ব্যবহার করা হবে। PS4 পৃথিবীর চারদিকে ঘোরার সময় অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। বিকিনি স্পেসক্রাফ্টকে PS4 এর উপরে রাখা হবে। এভাবে মিশনের সাফল্যের হার বেশি হবে। বিকিনি মহাকাশযানের নিজস্ব প্রপালশন সিস্টেম নেই, তাই এটি PS4 এর সাহায্যে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে। একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছানোর পর এই PS4 এই মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে যাবে। এইভাবে এই মহাকাশযানটি মহাকাশে কিছু সময় কাটাবে এবং তারপর বায়ুমণ্ডল অতিক্রম করে পৃথিবীর সাগরে পড়বে।