আগেই জানা গিয়েছিলো এবার বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গাপ্রতিমা (Mamata with Durga Puja) গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিল রানাঘাটের এক পুজো কমিটি। এই বিষয়ে আগেই দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে কলকাতায় ডাকা মরশুমের প্রথম সভাতেই রানাঘাটের ১১২ ফুট দুর্গা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নদীয়া জেলার জেলাশাসকও কার্যত জানিয়ে দিলেন যে এই পুজোর আয়োজনের বিপক্ষে রয়েছে প্রশাসন।
যদিও এই মুহূর্তে এই ১১২ ফুট এই দুর্গাপুজো আদৌ হবে কিনা তার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে হাইকোর্টের উপর। আদৌ কোনও দর্শনার্থী সেই দুর্গামূর্তির দর্শন করতে পারবে কিনা সেই নিয়ে এখনও টানটান উত্তেজনা চলছে রানাঘাট জুড়ে।
এই পুজোর বিষয়ে জেলাশাসককে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর জেলাশাসক জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দফতর, দমকল, পুলিশ, বিডিও এবং রানাঘাট এসডিও এই পুজোর আয়োজন পুরোপুরি বাতিল করেছে। ফলস্বরূপ আপাতত হাইকোর্টের রায়ের উপরেই ১১২ ফুট দুর্গাপুজোর ভাগ্য নির্ভর করছে।
রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে, ওই পুজো কমিটি প্রতি দিন ৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচের আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু দপ্তরের কর্তাদের মতে প্যান্ডেলের যে আয়তন, তাতে প্রকৃতপক্ষে কম করে ৩০ বা তার বেশি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ-এর প্রয়োজন। এত পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রদান করা এই পরিস্থিতিতে সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে।
অপরদিকে নিয়ম অনুযায়ী, পুজো করার ক্ষেত্রে দমকলের অনুমতি ও পর্যবেক্ষণ থাকা প্রতি বছরের জন্যই আবশ্যক। কিন্তু স্থানীয় দমকল এবং জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের পুজো এবং জমির অনুমতিপত্র জমা করা হয়নি ওই পুজো কমিটির তরফ থেকে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী এই বছরের পুজোর আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
রানাঘাট পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, এত বড় দুর্গা প্রতিমা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করতে পারেন। শুধু এলাকা অথবা জেলা নয়, জেলার আশেপাশের অন্যান্য এলাকার মানুষও ছুটে আসতে পারেন এই প্রতিমা দর্শন করার জন্য। ফলে স্থানীয় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা তো রয়েইছে। এত বড় দুর্গা প্রতিমার জন্য প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে মাত্র ১২ ফুট রাস্তার ওপর। স্থানীয় থানা দাবি করেছে যে, পুজোর পরে বিসর্জনের সময়ও বড়সড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। এইসব নিয়ম-নীতির ঘেরাটোপেই আপাতত স্থগিত রয়েছে রানাঘাটের এই দুর্গাপুজো।