China Nuclear Submarines: বড়সড় ঘটনা সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার এক সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা দাবী করেন যে চিনের (China) নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত আক্রমণ সাবমেরিন (nuclear-powered attack submarine) এই বছরের শুরুর দিকে ডুবে গেছে। আপাতত এই খবরে তোলপাড় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র।
বেইজিংয়ের জন্য এটি একটি সম্ভাব্য বিব্রত হওয়ার মতো ঘটনা, কারণ বেইজিং তার সামরিক সক্ষমতা প্রসারিত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম নৌসেনার অধিকারী চিন। চিনের রয়েছে ৩৭০ টিরও বেশি জাহাজ। এছাড়াও, চিন ইতিমধ্যেই একটি নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক সশস্ত্র সাবমেরিন তৈরির কাজ শুরু করেছে। এমন অবস্থায় এই খবর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “চিনের নতুন প্রথম-শ্রেণীর পরমাণু শক্তিচালিত আক্রমণকারী সাবমেরিন মে থেকে জুনের মাঝামাঝি সময়ে একটি পিয়ারের পাশে ডুবে যায়।“
ওয়াশিংটনে চিনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের কাছে দেওয়ার মতো কোনো তথ্য নেই। তিনি বলেন, “আপনার উল্লেখ করা পরিস্থিতির সঙ্গে আমরা পরিচিত নই এবং বর্তমানে দেওয়ার মতো কোন তথ্য নেই।” তিনি আরও যোগ করেন যে কী কারণে সাবমেরিন ডুবে গেছে বা সেই মুহূর্তে তাতে পারমাণবিক জ্বালানি ছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
তিনি কর্মকর্তা জানান, “প্রশিক্ষণের মান এবং সরঞ্জামের গুণমান সম্পর্কে সুস্পষ্ট প্রশ্নের পাশাপাশি, ঘটনাটি পিএলএর অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতা এবং চিনের প্রতিরক্ষা শিল্পের তত্ত্বাবধান সম্পর্কে গভীর প্রশ্ন উত্থাপন করে – যা দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতিতে জর্জরিত। আশ্চর্য হব না যদি এই ডুবে যাওয়ার ঘটনাটি যদি PLA Navy লুকানোর চেষ্টা করবে।“
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েলিংটন কু, (Taiwan Defence Minister Wellington Koo), শুক্রবার তাইপেইতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেন যে কর্তৃপক্ষ, “একাধিক গোয়েন্দা তথ্য এবং নজরদারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে।” তবে তিনি বিশদ বিবরণ দেননি।