Nepal: রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দুর্গা বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে নেপালি সেনা

নিউজ ডেস্ক, কাঠমাণ্ডু: সাত সকালেই কেঁপে কেঁপে উঠছে কাঠামান্ডুর সেনা নিবাস। ফাটছে কামান, পুরনো বন্দুকে টোটা ভরে গুলি চালিয়ে দেখা সবকিছু ঠিক তো! মঙ্গলবার নেপাল…

নিউজ ডেস্ক, কাঠমাণ্ডু: সাত সকালেই কেঁপে কেঁপে উঠছে কাঠামান্ডুর সেনা নিবাস। ফাটছে কামান, পুরনো বন্দুকে টোটা ভরে গুলি চালিয়ে দেখা সবকিছু ঠিক তো! মঙ্গলবার নেপাল সরকার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরাচরিত রীতিতে দেবী দুর্গা বরণ করবে। সেই অনুষ্ঠান হবে কাঠমাণ্ডুর ঐতিহাসিক বিশাল তুন্ডিখেল ময়দানে।

নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারি সামরিক অভিবাদন নিয়ে দেবী বরণের সবুজ সংকেত দেবেন। বিশ্বে একমাত্র নেপালেই হয় দেবী দুর্গার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বরণ।

Nepali soldiers fire cannons as part of preparation of dashin

অনুষ্ঠানটির নাম ‘ফুলপাতি’। সপ্তমীর সকালে দেবী দুর্গার ঘট নিয়ে নেপালি সেনা বিশেষ কুচকাওয়াজ করবে। পুরো অনুষ্ঠানটি হবে তুন্ডিখেল ময়দানে। অনুষ্ঠানে থাকবেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ পরিবারের সদস্যরা।

Nepali soldiers fire cannons as part of preparation of dashin

দুর্গাপূজা নেপালে ‘দাসিন’ নামে সুপরিচিত। এই দাসিন উৎসবের অন্যতম হল ফুলপাতি অনুষ্ঠান। কাঠমাণ্ডু প্রদক্ষিণ করা ঘট তুন্ডিখেল ময়দানে আসতেই নেপালি আর্মি সামরিক রীতিতে সেটিকে অভিবাদন জানাতে প্রস্তুতি নিয়েছে।

Nepali soldiers fire cannons as part of preparation of dashin

নেপালের জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ হিন্দু। দ্বিতীয় স্থানে আছে বৌদ্ধরার। কিছু অংশে রয়েছেন মুসলিমরা। সব উৎসবেই নেপালিরা অংশ নেন। আন্তর্জাতিক পর্যটনের অতি গুরুত্বপূর্ণ দেশটির দুর্গাপূজা হয় বিশেষ রীতিতে। সেটি দেখতে বহু পর্যটক আসেন নেপালে। চলতি বছর করোনার দাপট কমে এলেও এখনও পুরো নিশ্চিন্ত হয়নি নেপাল সরকার। ফলে দাসিন উৎসব উপলক্ষে রয়েছে বিধি নিষেধ।