Coochbehar: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত গ্রামে TMC গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলি, পুজোর আনন্দে মৃত্যুর ছবি

নিউজ ডেস্ক: পঞ্চমীর রাত থেকে যে রক্তাক্ত কাণ্ড ঘটেছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কোচবিহারের (coochbehar) মরাকুঠি গ্রামে,তার জেরে এই জেলায় উৎসব ম্লান। গুলিবিদ্ধ দুজনের মৃত্যুর জেরে…

coochbehar political clash

নিউজ ডেস্ক: পঞ্চমীর রাত থেকে যে রক্তাক্ত কাণ্ড ঘটেছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কোচবিহারের (coochbehar) মরাকুঠি গ্রামে,তার জেরে এই জেলায় উৎসব ম্লান। গুলিবিদ্ধ দুজনের মৃত্যুর জেরে প্রবল উত্তপ্ত এই গ্রাম। পরিস্থিতি এতটাই স্পর্শকাতর যে কোনও সময় বড় আকার নিতে পারে। দুর্গাপূজার আবহে এমন সংঘর্ষ আসন্ন উপনির্বাচনকে আরও বিশৃংখল করতে চলছে তা ক্রমশ স্পষ্ট।

কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্তের লাগোয়া দিনহাটার গীতালদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মরাকুঠি এলাকায় রবিবার রাতে সংঘর্ষ ছড়ায়। গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরেই সেখানে গুলি চলেছে।

আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচনে জেলার দিনহাটা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। উপনির্বাচনের আগেই ঘটল এমন রক্তাক্ত ঘটনা। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুলি লেগে মারা যান মান্নান হক ও মোজাফফর হোসেন। জানা গিয়েছে দুজনেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। সংঘর্ষে এলাকাবাসী জাহাঙ্গির আলমের হাত জখম। আরও এক জখম দিলদার হোসেন গীতালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। জখম কয়েকজন।

দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং শারদীয়া উৎসবের মাঝে এই ঘটনায় কোচবিহার জেলা প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য। জেলার রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। দিনহাটা থেকে বিশাল পুলিশ গীতালদহের মরাকুঠি গ্রামে যায়।

সংঘর্ষের জেরে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু। দিনহাটাকে আফগানিস্তানের চেয়েও বেশি সন্ত্রাস কবলিত করে তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। গীতালদহ গুলি কাণ্ডে এভাবেই তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন নাটাবাড়ি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ, উস্কানিমূলক বার্তা দিয়ে পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে বিজেপি। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূলের নাম জড়িয়েছে। মুখে কুলুপ এঁটেছেন কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।