বিশেষ প্রতিবেদন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় জাপানের কাছে ব্রিটিশ শক্তির পরাজয় সুভাষচন্দ্র বসুকে ভারতের স্বাধীনতার ব্যাপারে আশাবাদী করে তোলে। জাপান সরকারও তাঁকে সামরিক সহায়তা দিতে অঙ্গীকার করে ।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় জাপানের কাছে বন্দি ব্রিটিশ বাহিনীর ভারতীয় সৈন্যদল ও স্বাধীনতাকামী প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে গঠিত হয় আজাদ হিন্দ বাহিনী যার নেতৃত্ব দেবার গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু , হয়ে ওঠেন সবার প্রিয় নেতাজী । ১৯৪৩ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে সুভাষচন্দ্রের প্রধানমন্ত্রীত্বে গঠিত হয় প্রথম আজাদ হিন্দ সরকার।
এই সরকারের মন্ত্রী পরিষদে সামিল হন আরো দশজন, এর মধ্যে একমাত্র মহিলা সদস্যা কর্নেল লক্ষী স্বামীনাথন। জার্মানি, জাপান, ইতালিসহ মোট সাতটি দেশ আজাদ হিন্দ সরকারকে স্বীকৃতি দেয় ।এই সরকারের নিজস্ব মুদ্রা,ডাকটিকিট, আদালত ও বেতারকেন্দ্র ছিল এবং আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (নেতাজীর দেওয়া নাম শহীদ ও স্বরাজ দ্বীপ) সহ ব্রিটিশদের হাত থেকে দখল করা ভারতীয় ভূখেন্ডর ওপর এই সরকারের নিয়ন্ত্রণ ছিল ।
১৯৪৫ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত এই সরকার তাদের দায়িত্ব পালন করে। ঐতিহাসিকদের মতে আজাদ হিন্দ বাহিনীর সংগ্রাম ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির অন্যতম কারণ, কিন্তু স্বাধীনতোত্তর ভারতবর্ষে সরকারীস্তরে এই বাহিনী তার যথাযোগ্য সম্মান ও স্বীকৃতি পায়নি কিন্তু আজও ভারতীয় জনগণ এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ।