Dwarka : শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকাতে নোঙর করত ১০০০ টনের জাহাজ

দ্বারকা সম্বন্ধে রয়েছে নানান মত, নানান গল্প। অনেকটা আবেগ। তার মধ্যেও চলছে সত্যের অনুসন্ধান। বিজ্ঞানী, গবেষকরাও ছুটে যান গোমতীর ধারে, দ্বারকা (Dwarka) নগরীতে। দ্বারকায় এক…

Dwarka

দ্বারকা সম্বন্ধে রয়েছে নানান মত, নানান গল্প। অনেকটা আবেগ। তার মধ্যেও চলছে সত্যের অনুসন্ধান। বিজ্ঞানী, গবেষকরাও ছুটে যান গোমতীর ধারে, দ্বারকা (Dwarka) নগরীতে।

দ্বারকায় এক সময় গড়ে উঠেছিল বন্দর। ভিড়ত জাহাজ। এমন তথ্য পাওয়া যায় ছাপার হরফে। মিহির দাস- এর ‘বন্দর কথা’য় লেখা রয়েছে, “ভারতবর্ষের প্রাচীন শহর দ্বারকা; এটি বন্দর শহরও বটে।”

দ্বারকা সত্যিই কি কোনো বন্দর ছিল নাকি বসবাসের কোনো জায়গা, এ বিষয়ে মতের পার্থক্য রয়েছে। তবে এমন কিছু তথ্য বা প্রমাণ মিলেছে যা থেকে অনুমান করা হয় দ্বারকাতে এসে নোঙর ফেলত জাহাজ। মিহির দাস লিখেছেন, “ভারতবর্ষের অন্যান্য ঐতিহাসিক জায়গায় যেমন অনেক পোড়ামাটির জিনিস পাওয়া গিয়েছে; দ্বারকাতে কিন্তু বেশি কিছু পাওয়া যায়নি। জলের তলায় পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন রকমের নোঙর। এর বয়সকাল ঐতিহাসিক সময় থেকে শুরু করে প্রায় ১৫০০ খ্রি. পর্যন্ত।”

Dwarka
জলতলে খুঁজে পাওয়া পাথরের নোঙর

নোঙরের ওজন থেকে হিসাব করা বলা যেতে পারে জাহাজের আকার সম্পর্কে। দ্বারকার কাছে যে নোঙরগুলো পাওয়া গিয়েছে তার ওজন ১৫ কিলোগ্রাম শুরু করে ৭০০ কিলোগ্রাম। বন্দরে ১০০০ টনের জাহাজ এসে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা তাই প্রবল। নোঙর ছাড়াও জলের তলা থেকে পাওয়া গোলাকৃতি পাথরের অংশ। মনে করা হয়, এই পাথরগুলোতে গাছি দিয়ে বাঁধা থাকত জাহাজ। পাথরের আগে দাগও মিলেছে৷ পরবর্তীকালে রাজা সয়াজিরাও গায়কোয়াড়ও নির্মাণ করেছিলেন বন্দর।

যদিও শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকার অস্তিত্ব নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন ৯ হাজার বছরেরও আগে গোমতীর ধারে গড়ে উঠেছিল নগর সভ্যতা। ভারত সরকারের মেরিন আর্কিওলজি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে দ্বারকা নগরীর অস্তিত্বের ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছে বলা চলে।  গাল্ফ অব খামবাট থেকে সাত মাইল দূরে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে পাশাপাশি দুটো শহরের। যার আয়তন প্রায় ৫ বর্গমাইল।

২০০১ সালে মেরিন সমুদ্রতল থেকে বিভিন্ন সামগ্রীর হদিশ পেয়েছিল আর্কিওলজি ডিপার্টমেন্ট। কার্বন পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল সেগুলোর বয়স। এরপরেই অনুমান করা হয়, ১০ হাজার বছর আগেও অস্তিত্ব ছিল দ্বারকা নগরীর।