এক কাপ সাতরঙা চায়ে শুধু তোমাকেই চাই

লাল, সবুজ, হলুদ, ধূসর, কালো, কমলা আর সাদা-এক পেয়ালা ‘রামধনু’। কখনও তাতে লেবুর স্বাদ, কখনও স্ট্রবেরি বা কমলার ফ্লেভার, আবার কখনও আদার ঝাঝ বা গ্রিন…

rainbow-tea-story

লাল, সবুজ, হলুদ, ধূসর, কালো, কমলা আর সাদা-এক পেয়ালা ‘রামধনু’। কখনও তাতে লেবুর স্বাদ, কখনও স্ট্রবেরি বা কমলার ফ্লেভার, আবার কখনও আদার ঝাঝ বা গ্রিন টির সুবাস, প্রতি চুমুকে আলাদা স্বাদ।’রামধনু’ চা বা সাত রঙা চা, যার জন্য বিখ্যাত বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল।

যদিও আজকাল বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায় এই ‘রেনবো’ টি। তবে সাত রঙা চা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীমঙ্গলের সাইফুল ইসলাম।
সিলেটের শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ। পাহাড় আর চা বাগানে ঘেরা এই অঞ্চলটি রাজধানী ঢাকা থেকে ১৭৫ কিমি দূরে অবস্থিত। সেখানকার ৩২ বছর বয়সী যুবক সাইফুল ইসলাম এই অত্যাশ্চর্য সাত রঙের
চা তৈরি করেন।

   

rainbow-tea-story

কিন্তু জানেন কি রমেশ রাম গৌড় না থাকলে সাইফুলের এই সাত রঙা ম্যাজিক চা সম্ভব হতো না? কে এই রাম গৌড় ?

২০০৬ সালে শ্রী রমেশ রাম গৌর পাঁচ স্তরের চা বানিয়ে এই সিলেটেই সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এই পাঁচ রঙা চায়ের দোকান খুলে পসার সাজিয়ে বসেছিলেন তিনি। প্রতিবেশী রাম গৌরের এই বিভিন্ন রঙের চা দেখে অনুপ্রেরণা পান সাইফুল এবং তারপরেই বানিয়ে ফেলেন সাত রঙা চা। তাঁর কথায়, “ছোটবেলা থেকে দেখছি। আমাদের এলাকার উৎপন্ন চা সারা দেশে যায়, এমনকি বিদেশেও যায়। আসলে ভালাে স্বাদের এক কাপ চায়ের ক্রেজিনেসটা আমার বরাবরই ছিল। তাই প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের চা-এর ওপর নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতাম। শেষমেশ লটারি পাওয়ার মতাে আমার স্বপ্ন সত্যি হয়ে যায়। তৈরি করে ফেললাম সাত রঙা চা। সাতটি ভিন্ন রঙের সাতটি স্তরে সাজানো এই চা এখন একটি রহস্য। স্বচ্ছ কাচের গ্লাসে পরিবেশন করা হয়। তাতে স্তরে স্তরে সাজানো সাতটি রঙ, স্বাদ ও গন্ধে ভরপুর এক গ্লাস চা। অবাক বিষয় যতই নাড়াচড়া করুন না কেন এক স্তর অন্যের সঙ্গে মিশবে না। যিনি প্রথম এই চা দেখবেন, তাঁর কাছে এটি চা ভাবতেই একটু অসুবিধা হবে। আর যিনি এর স্বাদ নিয়েছেন বার বার ছুটে গিয়েছেন সিলেটে। সাইফুলের সাত রঙা এবং রাম রমেশ গৌরের পাঁচ রঙা চা এখন শ্রীমঙ্গলের ফেমাস ড্রিঙ্ক। তাই এই অঞ্চলে ঘুরতে গিয়ে ‘রামধনু’ চায়ের পেয়ালায় চুমুক দেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুর্লভ।