১২টি নতুন চিতা ভারতের মাটিতে পৌঁছতে চলেছে (Project Cheetah)। তাদের আনার জন্য হিন্দন এয়ারবেস থেকে একটি বিশেষ বিমান রওনা দিয়েছে৷ বিমানটি ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাত্রা করবে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শিবরাত্রি সকালে গোয়ালিয়র বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখান থেকে এই চিতাগুলো নিয়ে যাওয়া হবে কুনো ন্যাশনাল পার্কে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ৮টি চিতাবাঘ অবমুক্ত করা হয়েছিল। এগুলো নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছে। এখন চিতার দ্বিতীয় ব্যাচ শনিবার ভারতে পৌঁছাবে। এবার সাতটি পুরুষ ও পাঁচটি স্ত্রী চিতা আনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। তিনি জানান, চিতাদের আনার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে বিমান বাহিনীর বিশেষ সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমান রওনা হয়েছে।
এই বিমানটি ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাত্রা করবে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় গোয়ালিয়র বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। ভেটেরিনারি ডাক্তার এবং বিশেষজ্ঞ ডাঃ লরেলও চিতার সাথে একই বিমানে আসবেন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিতা আনার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বিমান বাহিনী পরিবেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে কোনও ফি নেয়নি।
কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার চিতাগুলি প্রথমে শনিবার সকালে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে পৌঁছাবে এবং ৩০ মিনিট পরে তাদের ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার দূরে শেওপুর জেলার কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর তাদের আলাদা করা হবে কোয়ারেন্টাইনের জন্য বিশেষ বেষ্টনীতে।
কেন্দ্রীয় বন পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব আরও বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে এই ১২টি চিতা আসার পরে, আগামী আট থেকে ১০ বছরের মধ্যে বছরে ১২টি চিতা দেশে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সমঝোতা স্মারকের শর্তাবলীর প্রাসঙ্গিকতা নিশ্চিত করতে প্রতি পাঁচ বছর পর পর পর্যালোচনা করা হবে।
৫২ বছর আগে চিতাদের ভারত থেকে বিলুপ্ত বলে মনে করা হয়েছিল। শনিবার ভারতে আসা চিতাগুলির স্থানান্তরের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে গত মাসে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতকে এই চিতাবাঘগুলো দান করেছে। সেখানে ধরা পড়া প্রতিটি চিতার জন্য ভারতকে ৩০০০ ডলার দিতে হবে।