Neanderthal: যৌথ পরিবারে বসবাস করত নিয়েন্ডারথালরা,‌ বলছে গবেষণা

রাশিয়ার সাইবেরিয়ার চাগিরস্কায়া এবং ওগলাদনিকভ গুহায় মিলেছিল শতধিক প্রাচীন মানুষের দেহাবশেষ। প্রাচীন মানুষ যাদের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল তারা ছিলেন নিয়েন্ডারথাল(Neanderthal) গোত্রের মানুষ। দেহ্বশেষ থেকেই ডিএনএ…

রাশিয়ার সাইবেরিয়ার চাগিরস্কায়া এবং ওগলাদনিকভ গুহায় মিলেছিল শতধিক প্রাচীন মানুষের দেহাবশেষ। প্রাচীন মানুষ যাদের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল তারা ছিলেন নিয়েন্ডারথাল(Neanderthal) গোত্রের মানুষ। দেহ্বশেষ থেকেই ডিএনএ এর নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন গবেষকরা। সেই নমুনা থেকেই জিনোম সিকোয়েন্স তৈরি করে গবেষকরা। এর উপর ভিত্তিক করেই এই প্রথমবার গবেষণার মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য মিলেছে।

গবেষকরা যে ডিএনএ সিকোয়েন্স তৈরি করেছিলেন,এর সৌজন্যেই নিয়েন্ডারথালদের পারিবারিক কাঠামো সম্পর্কে এক স্পষ্ট ধারণা করতে পেরেছেন গবেষকরা। এই গবেষণার কাজে রয়েছেন জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের গবেষকরা। গত সপ্তাহে বুধবার ‘নেচার’ (Nature) নামক এক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে নিয়েন্ডারথাল গোত্রের যে প্রাচীন দেহাবশেষ মিলেছিল সেই সম্পর্কিত গবেষণাপত্রটি।

‘নেচার’ পত্রিকায় যে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে, তার নেপথে রয়েছেন জার্মানির ম্যাক্সপ্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের গবেষকরা। তাঁদের মতে,”যে প্রাচীন মানুষ যে দেহাবশেষ মিলেছে তারা ‌সাইবেরিয়ার চাগিরস্কায়া এবং ওগলাদনিকভ গুহায় বসবাসকারী এই পরিবারের সদস্য। যাদের বয়স অন্ততপক্ষে ৫৪ হাজার বছর। 

প্রসঙ্গত, আজ থেকে প্রায় ৪ লক্ষ বছর আগে প্রথম পৃথিবীর বুকে পা রাখে নিয়েন্ডারথাল গোত্রের মানুষরা। প্রায় ৪০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর থেকে অস্তিত্ব মুছেও যায় তাদের অস্তিত্ব। অর্থাত্‍, সময়ের নিরিখে দেখতে গেলে, বিবর্তনের প্রায় শেষ ধাপেই পৌঁছে গিয়েছিল সদ্য-আবিষ্কৃত নিয়ান্ডারথাল পরিবারটি”। 

গবেষকদের মতে,” এই পরিবারের জিনোম সিকোয়েন্সে কয়েক প্রজন্মের পুরুষদের মধ্যে ওয়াই ক্রোমোজোমের চরিত্রে যথেষ্ট মিল রয়েছে। অন্যদিকে মহিলাদের ক্ষেত্রে রয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ এক্স ক্রোমোজোমের চরিত্র। তখনকার সময়ও বর্তমান পরিস্থিতির মতো জীবনসঙ্গী খুঁজে পেলে মেয়েরা বাড়ি ছেড়ে চলে যেত। মহিলারা পারিবারিক গোষ্ঠী ছেড়ে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে অন্য গুহায় আশ্রয় নিত। এই জন্যই জিনোম সিকোয়েন্সে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেছেন গবেষকরা, এমনটাই গবেষণা গবেষণাপত্র দাবী করেছেন গবেষকের দল।

প্রকাশিত গবেষণা পত্র অনুযায়ী, গুহা থেকে এক পরিবারের ১৩ জনের দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। যাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৬ জন মহিলাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি, তার স্ত্রী ও কিশোরী কন্যাকে শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি গবেষণায় ওই পরিবারের ওই ব্যক্তির মাতৃস্থানীয় এক মহিলা এবং ওই ব্যক্তির খুড়তুতো ভাই ও তার পরিবারেরও উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। গবেষকদের মতে, গ্রাম বাংলার যৌথ পরিবারের মতো প্রাচীন লিয়েন্ডারথালরাও যৌথভাবে বসবাস করতেন।