মাংস লোভনীয় তাই বিলুপ্ত হবে জিরাফ, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চিনবে ছবিতে

জিরাফের মত শান্ত প্রাণীকে আমরা সামনে থেকে দেখতে পেলেও হয়ত আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আর দেখতে পাবে না। হয়ত শুধু ছবিতেই চিনতে পারবে ঠিক যেমন ডাইনোসরকে…

জিরাফের মত শান্ত প্রাণীকে আমরা সামনে থেকে দেখতে পেলেও হয়ত আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আর দেখতে পাবে না। হয়ত শুধু ছবিতেই চিনতে পারবে ঠিক যেমন ডাইনোসরকে আমরা দেখি। কারণ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জিরাফ। গত তিন দশকে জিরাফের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। আর যা নিয়ে রীতিমতন চিন্তায় পরিবেশবিজ্ঞানীরা।

আফ্রিকায় এখন হাতি বা গরিলার চেয়ে জিরাফের সংখ্যা কম। ২০১৬ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নিরীহ স্তন্যপায়ী প্রাণীটিকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাতটি দেশে এটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।বিশ্বব্যাপী প্রচারাভিযানের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের গতি বাড়ছে, কিন্তু জিরাফের সংখ্যা হ্রাস বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ এখনও করতে পারে নি।

চোরাকারবারিদের হাতে শিকার ছাড়াও নানা বিপদের সম্মুখীন হতে হয় শান্ত এই প্রাণীটিকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যখন দীর্ঘদিন বৃষ্টি হয় না, তখন জিরাফদের আরও বিপদের মধ্যে পড়তে হয়। খরার দিনগুলোতে অনাহারে দিন কাটে। খেতে না পেয়ে অনেক প্রাণী মারাও যায়। ২০২২ সালের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯৩টির বেশি জিরাফ মারা গিয়েছে না খেতে পেয়ে। সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে মাসাই প্রজাতির জিরাফ। কোনো কোনো দেশে আবার শক্তির প্রতীক হিসাবেও জিরাফ শিকার করা হয়। যাতে জিরাফের মাথা ট্রফি আকারে সাজিয়ে রাখা যায়।কেনিয়া এবং উগান্ডায় জিরাফের সংখ্যা আড়াই হাজারেরও কম।

জিরাফের মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের সবচেয়ে বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা শীঘ্রই জিরাফকে বিপন্ন প্রজাতি হিসাবে ঘোষণা করতে পারে। যা জিরাফের মাংস এবং অন্যান্য অঙ্গের অবৈধ কারবার বন্ধ করা যাবে। পরিবেশকর্মীদের আশা, এরফলে গোটা বিশ্বে জিরাফের ভবিৎষত সুরক্ষিত হবে।