zebra car: রাজপথে মল্লিকদের জেব্রা গাড়ি দেখে চোখ ছানাবড়া সাহেবদের, এ যে ব্রিটেনের রানিরও নেই

আজকাল আমরা কতো ধরনের গাড়িতে উঠি। তার আবার নানা রকমের ভাগ। তবে সে যাই হোক কলকাতার জন্মলগ্ন থেকেই. বিবর্তন ও বৈচিত্র এসেছে তা বলা বাহুল্য।…

zebra car

আজকাল আমরা কতো ধরনের গাড়িতে উঠি। তার আবার নানা রকমের ভাগ। তবে সে যাই হোক কলকাতার জন্মলগ্ন থেকেই. বিবর্তন ও বৈচিত্র এসেছে তা বলা বাহুল্য। প্রথমে ছিল পদব্রজে যাত্রা। তারপর এলো পালকি, তারও পরে এলো ঘোড়ার গাড়ি। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলল একের পর এক গাড়ির সংখ্যা। সমাজের বিত্তবানদের মধ্যে ছিল বিত্তবানদের দেখনদারি। আর তাঁদের শখও ছিল বাহারি।

উত্তর কলকাতার পাথুরিয়া ঘাটার যদুনাথ মল্লিককে সকলেই চিনতেন এক ডাকে। বিত্তবান ছেলেপুলে দের একটু শখ তো থাকবেই। ঘোড়ার গাড়ি তো ছিলই সাত খানা। কিন্তু সে আর নতুন কি! জমিদারদের দেখনদারি না হলে কি আর চলে। সেই ইচ্ছেতেই ১৯৩০ সালে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে ছয় হাজার টাকা দিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে জেব্রা কিনেছিলেন মন্মথনাথ মল্লিক।

   

কলকাতার রাজপথে যাতে সেই জেব্রা টানা গাড়িতে ঘুরতে পারেন সেই জন্য নিজেই দিয়েছিলেন তাদের ট্রেনিং। ব্যাস, গোটা কলকাতা দেখল মল্লিক বাবুর জেব্রা টানা সে এক গাড়ি। নিঃসন্দেহে ছিল এক অভিনব ঘটনা। তৎকালীন আরও বড় বড় বাবুদের দল থেকে শুরু করা কলকাতাবাসী, ভারতে তখনও ক্ষমতায় থাকা ইংরেজ সবাই হাঁ করে দেখল মল্লিকবাবুর কীর্তি।

মল্লিকবাবুর সেই জেব্রা গাড়ি এতটাই আলোড়ন ফেলেছিল যে তা রীতিমতো ফ্রেমবন্দি হয়ে রয়েছে। জুরি গাড়ীর সাথে এর পার্থক্য ছিল এই গাড়িতে মাত্র দু’জন সওয়ার হতে পারতেন। কিন্তু বিবর্তিত তিলোত্তমার এহেন ইতিহাস নিঃসন্দেহে এক স্মৃতির সম্পদ।