কয়েক বছরের মধ্যে কাশ্মীরে প্রয়োজন পড়বে না আধাসেনার: অমিত শাহ

আর কয়েক বছরের মধ্যেই কাশ্মীর (Kashmir) পুরোপুরি শান্ত হয়ে আসবে। চেনাই যাবে না। কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে সেনা ও আধাসেনার আর দরকার হবে না। শনিবার…

Paramilitary will not be needed in Kashmir in a few years: Amit Shah

আর কয়েক বছরের মধ্যেই কাশ্মীর (Kashmir) পুরোপুরি শান্ত হয়ে আসবে। চেনাই যাবে না। কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে সেনা ও আধাসেনার আর দরকার হবে না। শনিবার সিআরপিএফের এক অনুষ্ঠানে এই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী এই প্রথম কাশ্মীর থেকে আধাসেনা প্রত্যাহারের কথা প্রকাশ্যে বললেন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।

জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে সিআরপিএফের বার্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাহ। এই প্রথম দিল্লির বাইরে কোনও জায়গায় সিআরপিএফের বার্ষিক অনুষ্ঠান হল। অনুষ্ঠানে শাহ জওয়ানদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা কাশ্মীরকে রক্ষা করতে যে ভূমিকা পালন করছেন তার জন্য তাঁদের কুর্নিশ জানাতেই হয়। একইভাবে তাঁরা উত্তর-পূর্ব ভারতেও জঙ্গি দমনের কাজ করছেন। তবে সিআরপিএফ কাশ্মীরে আজ যে ভূমিকা পালন করছে তাতে আর কয়েক বছর পর হয়তো কাশ্মীরের শান্তি বজায় রাখতে তাদের প্রয়োজনই হবে না।

এই মুহূর্তে কাশ্মীরে প্রায় ৬৫ হাজার হাজার আধাসেনা মোতায়েন রয়েছে। সিআরপিএফ বাহিনীর এক চতুর্থাংশ নিয়োজিত এখানে। কাশ্মীরের নিরাপত্তায় নিযুক্ত রয়েছে বিএসএফ, এসএসবি, আইটিবিপি, রাজ্য পুলিশ। ২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পরেই ভূস্বর্গের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই বিপুল পরিমাণ আধাসেনা নিয়োগ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন দাবি করেন, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সুফল পাচ্ছেন কাশ্মীরের মানুষ। কারণ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ফলে কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সম্পূর্ণ দায়িত্ব চলে গিয়েছে সিআরপিএফ বাহিনীর হাতে। যা সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা নিয়েছে।