চায়ে পে প্রেম: দিল্লির এই লাভ স্টোরি মন ছুঁয়েছে নেট-দুনিয়ার

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দম্পতির গল্প বিদ্যুৎ গতিতে ভাইরাল হচ্ছে। তাঁরা দিল্লীর বাসিন্দা। একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে, নেটিজেনরা তাদের গল্প সম্পর্কে জানতে পারছে। একটি ছবিতে তাঁদের…

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দম্পতির গল্প বিদ্যুৎ গতিতে ভাইরাল হচ্ছে। তাঁরা দিল্লীর বাসিন্দা। একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে, নেটিজেনরা তাদের গল্প সম্পর্কে জানতে পারছে। একটি ছবিতে তাঁদের দুজনকেই চা খেতে দেখা যাচ্ছে।

মায়াঙ্ক অস্টিন সুফি নামের একজন ব্যক্তি তার ইনস্টাগ্রাম পেজে একটি প্রেমের গল্প পোস্ট করেছেন, এই ছবিতে আফজাল এবং সাবিনাকে দিল্লির সরাই কালে খানের একটি চায়ের দোকান থেকে দেখা যাচ্ছে। ছবিতে আফজালের পরনে কালো জিন্স ও বাদামি শার্ট, সাবিনাকে সালোয়ার কামিজ পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। পোস্টে এই দুজনের গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে- দু’জনেই চাপ্রেমী, আর একসঙ্গে চা পান করলে একই গ্লাস দিয়ে পান করেন। আফজাল বলেন, ‘আমরা এভাবে চা খেতে পছন্দ করি।’ অন্যদিকে সাবিনা বলেন, ‘আমরা একে অপরকে পছন্দ করি। তাই আমরা এভাবে চা খাই।’

শুধু তাই নয়, আফজাল ও সাবিনা একই প্লেটে খাবার খায়। দু’জনেই একে অপরকে ভালোবাসেন। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সাবিনা বলেন, আমাদের প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল। আফজাল বলেন, ‘দুজনের পরিবার আমাদের বিয়ের পক্ষে ছিল না।’ আফজাল হল একজন শ্রমিক। সাবিনা বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যরা বিয়ের বিপক্ষে ছিলেন কারণ আমরা একে অপরকে ছোটবেলা থেকে চিনি।

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে এই দম্পতি একে অপরের সম্পর্কে অনেক কিছু পছন্দ করেন। আফজালের কথা বলতে গিয়ে সাবিনা বলেন- তার চুলের স্টাইল খুব ভালো… তিনি যেভাবে কথা বলেন তা আমি পছন্দ করি। একই সঙ্গে সাবিনা সম্পর্কে আফজাল বলেন- কোথা থেকে শুরু করব? ওর স্বভাব খুব ভাল।

বিয়ের পর, এই দম্পতি একসঙ্গে একটি নতুন জীবন শুরু করেন এবং তাদের বাবা-মা-এর বাড়ির কাছেই একটি ঘর ভাড়া নেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় আফজাল যখন কাজ শেষে বাড়ি ফিরে আসে, তখন সে সাবিনাকে রান্না করতে সাহায্য করে। সাবিনা বলেন, সে সারাদিন কাজ করে এবং তারপর বাড়িতে বসে কাজ করে, যাতে আমার জীবন সহজ হয়।

মাঝেমধ্যেই দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকে। আফজাল বলে, যখন সে আমার ভালো উপদেশ অনুসরণ করে না। সাবিনাও একই কারণ দেখিয়েছেন। বিয়ের এক বছর দু’জনকে অনেক বদলে দিয়েছে। আফজাল বলেন, ‘আমি আরও দায়িত্বশীল, কঠোর পরিশ্রমী হয়ে উঠেছি। আমি তো প্রতিদিন ৩০০ টাকা উপার্জন করি… আপনি এত বেশি বাড়ি চালাতে পারবেন না… আমাকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’