পঞ্চায়েত ভোট সামনে রেখে মু়খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তথা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রীর নজর জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে বিজেপিকে নিশ্চিহ্ন করা। কারণ,এই জেলাগুলি থেকেই গত লোকসভা ও বিধানসভায় বিরাট উত্থান হয়েছিল বিজেপির। সেই লক্ষ্যে চলতি মাসেই বাঁকুড়ায় বড়সড় সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই সভাস্থল নিয়েই বড়সড় বিতর্কে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস।
অভিযোগ, আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে গন্ধেশ্বরী নদীর চরে সভাস্থল ঠিক করা হয়েছে। প্রতিবাদে পথে নেমেছে গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি ও বিজ্ঞানমঞ্চ। নদীর চরে মুখ্যমন্ত্রীর সভার অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আগামী ১ জুন বাঁকুড়ার সতীঘাটে তৃণমূলের বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভাস্থলকে ঘিরেই বিতর্ক।
জানা যাচ্ছে, গত বছর একটি ধর্মীয় সংগঠন দ্বারকেশ্বর নদের চরে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। সেই সভা রুখতে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হন জেলার পরিবেশ প্রেমীরা। এখন কীভাবে গন্ধেশ্বরীর চরে তৃণমূলের সভা হবে তা নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে।
এদিকে গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটির অভিযোগ, শাসক দল গায়ের জোরে নদীর বুকে সভা করছে। নদীর বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদীর বুকে যন্ত্র নামিয়ে সমতল করার কাজে নিজস্ব গতিপথ রুদ্ধ হয়ে বদলে যেতে পারে। এর প্রতিবাদে বাঁকুড়ার মাচানতলায় গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি ও পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের তরফে সচেতনতা সভা হয়।
গন্ধেশ্বরীর চরে টিএমসির সভাস্থল নিয়ে সরব বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। তবে তৃণমূলের দাবি, সভাস্থল জমি নদীর অংশ নয়। আপাতত বিতর্কে মমতার সভা।