Indian National Army : সাহারা মরুতে ভারতীয় জওয়ানদের হাতে মার খেয়েছিল নাৎসিরা

ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বের পরিচয় রয়েছে ইতিহাসের পাতার পর পাতায়। ব্রিটিশদের অধীনে থাকার সময়েও অকুতোভয় ভয় ছিলেন যোদ্ধারা (Indian National Army)। দোর্দণ্ডপ্রতাপ হিটলারের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন রক্তক্ষয়ী…

Indian National Army

ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বের পরিচয় রয়েছে ইতিহাসের পাতার পর পাতায়। ব্রিটিশদের অধীনে থাকার সময়েও অকুতোভয় ভয় ছিলেন যোদ্ধারা (Indian National Army)। দোর্দণ্ডপ্রতাপ হিটলারের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। নাৎসিরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল।

১৯৩৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জার্মানির বিপক্ষে যুদ্ধ (WWII) ঘোষণা করেছিল ব্রিটেন। ভারতে তখন ইংরেজ শাসন। তাই ভারতও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। সংসদের অনুমতি ছাড়াই তৎকালীন ভাইসরয় ব্রিটেনের বিরুদ্ধে কাজে লাগান ভারতীয় সেনাকে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

ভারতে ততদিনে জোরালো হতে শুরু করেছিল স্বাধীনতার দাবি। তবুও বীর জওয়ানরা পিছু হটেননি তখন। কিছু বিদ্রোহী সেনা ব্যতীত ব্যাটেলিয়নের সিংহভাগ সেনা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ব্রিটেনের হয়৷ তখন প্রায় ৩ লক্ষ সেনা ছিল ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল আর্মিতে। যার মধ্যে ৬০ হাজারের কিছু বেশি ব্রিটিশ৷ যুদ্ধের মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সেনায় বৃদ্ধি করা হয় লোক-বল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহে এক সময় সেনা সংখ্যা হয়েছিল ২৫ লক্ষ।

ব্রিটেন ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন ভারতীয় জওয়ানরা৷ সোমালিয়া, ইতালিয়ান ইস্ট আফ্রিকা, মিশরে ব্রিটিশদের হয়ে অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিল ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল আর্মি। ব্রিটিশ সেনাপতি ওয়াভেলের দক্ষতায় ৪র্থ ইন্ডিয়ান এবং ৭ম আর্মারড ডিভিশনের সাহায্যে ইতালির ৮টি ডিভিশনকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। ইরিত্রিয়া ও আবিসিনিয়ায় (বর্তমান ইথিওপিয়া) ইতালিয়দের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল ভারত। আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল ইতালি।

আফ্রিকার মরুভূতিতে ব্রিটিশ নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জওয়ানরা মুখোমুখি হয়েছিলেন হিটলারের নাৎসি বাহিনীর আফ্রিকাকর্পস। লড়াই চলেছিল কাঁটায় কাঁটায়। শেষে ভারতীয় জওয়ানদের মুখে হাসি ফোটে। পিছু হটে আফ্রিকাকর্পস। এল-আলামিনের ১২ দিনের প্রাণান্তকর যুদ্ধের পর অবশেষে জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন তাঁরা। উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল আর্মির চতুর্থ ও পঞ্চম ডিভিশন।

ভারতীয় নৌ-বাহিনীর গুরুতে রয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল নৌ-সেনা। ব্রিটিশ বাহিনীর সাপ্লাই লাইন সচল রাখার দায়িত্বে ছিল ভারত।

ভারতীয় নৌবাহিনীর উৎপত্তি সপ্তদশ শতাব্দীতে। মনে করা হয় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬১২ সালে ভারতে নৌবহর প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বের দরবারে সমীহ আদায় করা এক নাম ইন্ডিয়ান নেভি। ব্রিটিশদের যুদ্ধের বিভিন্ন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার গুরু দায়িত্ব বর্তায় নৌ-সেনার ওপর। ভারতের জাহাজে পাঠানো হতো যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রসদ। বলা ভালো রণক্ষেত্রে ব্রিটিশ আর্মির লাইফলাইন।