পুজোর দিনেই লক্ষী এলেন ঘরে, এখনই দুর্গা গড়ার অর্ডার শিল্পীর হাতে

বিশেষ প্রতিবেদন: এমন বরাত কতজনের হয়? ভালো কাজ করলে হয়তো তা হয়। তেমনভাবেই বরাত খুলেছে দীপেন মন্ডলের। পরের দুগ্গা পূজো এখন খান ৩৪০ দিন পরে।…

next year durga puja on laxmi puja

বিশেষ প্রতিবেদন: এমন বরাত কতজনের হয়? ভালো কাজ করলে হয়তো তা হয়। তেমনভাবেই বরাত খুলেছে দীপেন মন্ডলের। পরের দুগ্গা পূজো এখন খান ৩৪০ দিন পরে। এমন সময়েই আগামী বছরের ঠাকুর গড়ার দায়িত্ব পেয়ে গেলেন শিল্পী। সৌজন্যে কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিট ক্লাব।

ক্লাবের কর্তা অভিজিৎ বসু জানিয়েছেন, ” ক্লাবের এই বছরের পুজোর চালিকাশক্তি মনে হল শিল্পী দীপেনই। ওর প্রতিমা দেখে ধন্য ধন্য করল দর্শক .প্রতিবেশী ও বিচারকরা তাই আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই নবীন শিল্পীকে এবং সামনের বছর ও কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রীট ক্লাবের দুর্গা প্রতিমার দায়িত্ব ওর হাতেই অর্পণ করলাম।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, “কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রীট ক্লাবের এ বছরের দুর্গা প্রতিমার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল প্রতিভাবান শিল্পী দীপেন মন্ডল কে, সুদূর বীরভূমের মধ্যবিত্ত ঘরের এই ছেলেটি বহু বছর ধরেই কলকাতায় বিভিন্ন শিল্পীদের সহকারী হিসেবে কাজ করেছে ,কখনো কুমোরটুলি কখনো কালীঘাটের পটপাড়ায়. বেশ ক’বছর ধরে ওর কাজের ধরন দেখছিলাম অসম্ভব প্রতিভাবান এই শিল্পী এবছর নিজেই বেশ কটা ঠাকুর তৈরি করবে ঠিক করে বালিগঞ্জের দুর্গা বাড়িতে. জানুয়ারি মাস থেকেই আমাদের সঙ্গে কথা চলছিল অত্যন্ত নম্র-ভদ্র এই নবীন শিল্পী কে আমাদের প্রতিমার ছবি দেখাই বিশেষ করে সিংহাসনের সাথে আমাদের মণ্ডপে আরো সাতটি সিংহ ও রাধা কৃষ্ণ মূর্তি ও বানাতে হবে সেটাও জানাই…. টাকা পয়সার কোন ফাইনাল না করেই শিল্পী দীপেন মন্ডল ক্লাবে আমাদের মূর্তি তৈরি করবে কথা দেয়।”

একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “প্রথম প্রথম একটু ভয় থাকলেও যতদিন গড়াতে থাকে তত অবাক হতে থাকি এই শিল্পীর একাগ্রতা দেখে ..কলকাতার আরও বড় ছটি ক্লাবের দুর্গা ও তৈরি করে তারই মধ্যে একটি এশিয়ানপেইন্টস সম্মানে সম্মানিত.. সত্যি কখনো কখনো মনে হয় আমরা হয়তো খাঁটি সোনা টাকে ঠিকমতো চিনতে পারিনা ছুটি নাম যশের পেছনে কিন্তু হ্যাঁ কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রীট ক্লাব অত্যন্ত কষ্ট করে আজকের এই পুজোকে কলকাতার মানচিত্র স্থান করেছে তার জন্য আমাদের দুর্গা প্রতিমার রুপি মানুষের মনকে টানে বছরের পর বছর . তাই খাঁটি সোনা কে চিনতে অসুবিধা হয়নি.. আর সেটা

নবীন শিল্পী দীপেন মন্ডল ও জানতো তাই ওর সবকিছু দিয়ে আমাদের এই মূর্তিকে সাজিয়ে তুলেছে কোন ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা ও আশা করিনি ও শুধু চেয়েছে মন প্রাণ দিয়ে কাজটা করতে আজ সত্যিই লক্ষ্মী পূজার সকালে ওকে এবছরের পুজোয় কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রীট ওকে পুজোর আগাম দায়িত্ব দিল।”