Kalimpong: হিমালয়ে হাতির মতো দাপাচ্ছে মেঘ, রাংপো সেতুর পিলার ভেসে সিকিম বিচ্ছিন্ন

নিউজ ডেস্ক: কে বলবে কখন কী হয়? সবারই মনে ভয়। এই বুঝি কিছু হয়। পরিস্থিতি এমনই। হিমালয়ের মাথায় মেঘের দল মত্ত হাতির মতো দাপাচ্ছে। প্রবল…

rangpo Bridge

নিউজ ডেস্ক: কে বলবে কখন কী হয়? সবারই মনে ভয়। এই বুঝি কিছু হয়। পরিস্থিতি এমনই। হিমালয়ের মাথায় মেঘের দল মত্ত হাতির মতো দাপাচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে সিকিমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যোগাযোগ ভেঙেই গেল। কারণ, আন্তঃরাজ্য সীমানার কালিম্পং জেলার সিকিমের সংযোগকারী বিখ্যাত রাংপো সেতুর পিলার ভেসে গিয়েছে।

শিলিগুড়ির সঙ্গে গ্যাংটকের মূল সংযোগ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কোনও যোগাযোগ নেই আপাতত। ফলে সিকিম সড়কপথে প্রায় বিচ্ছিন্ন।

পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার সঙ্গে সিকিমের পেকইয়ং জেলার মধ্যে যাতায়াত করার বিখ্যাত রাংপো সেতুর কোনও পিলারই আর নেই। রাংপো নদীর জলের তোড়ে ভেঙে ভেসে গিয়েছে পিলারগুলো। পুরো সেতু এখন বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে। যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

অতি বৃষ্টির কারণে বিপদসীমার কাছাকাছি বইছে তিস্তা। প্রবল গতিতে বইছে রাংপো নদী। দুই নদীর সংযোগ এলাকায় সিকিমের বিখ্যাত রাংপো বাজার। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে এই সেতু দিয়েই সিকিমের যোগাযোগ। রাংপো চেক পোস্টের কাছে সেতু বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছে। দুদিকের দুই রাজ্যের বাসিন্দারা আশঙ্কিত। যেভাবে বৃষ্টি পড়ছে তাতে রাংপো নদীর জলস্তর আরও বাড়বে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতেই ভেসে গিয়েছে সেতুর পিলারগুলো। সকাল থেকে আবহাওয়া আরও খারাপ থাকায় পশ্চিমবঙ্গের দিক থেকে কোনও গাড়ি আসেনি।

সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং তামাং জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছেন। গ্যাংটকের খবর, রাংপো সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিবেশি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি এখন অগম্য।

১০ নম্বর জাতীয় সড়কের পশ্চিমবঙ্গের সেবক, সিকিমের রানিপুল, সিংটাম, মেলির কাছে পাহাড়ি ঝর্নাগুলো ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করায় ধসে বেশকিছু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার মুখে। মেলি বাজারের কাছে নদীর জল খাদের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার মুখে।

সিকিম সরকার জারি করেছে সতর্কতা। বলা হয়েছে শিলিগুড়ি যাওয়ার অতি প্রয়োজন না থাকলে বের হওয়ার দরকার নেই। তবে এই দুর্যোগেও কয়েকজন জীবন হাতে করে বের হয়েছেন। তাঁদের তোলা ছবিতে স্পষ্ট, কী ভয়াবহ পরিস্থিতি। আবহাওয়া বিভাগের সতর্কতা, দুর্যোগ চলবে আরো দুদিন। দুর্যোগ কাটার পরেও ধসের সম্ভাবনা থাকছে।