Mahakal: তিন মাসে গত বছরের চেয়ে বেশি আয় উজ্জয়িনী মহাকালের মহাধন

উজ্জয়িনী মহাকালেশ্বর মন্দিরে মহাকাল (Mahakal) লোক নির্মাণের পর বিপুল সংখ্যক ভক্ত দর্শনার্থে পৌঁছাচ্ছেন। ভক্তের সংখ্যার প্রভাব এখন বাবা মহাকালের ভান্ডারেও দেখা যাচ্ছে।

উজ্জয়িনী মহাকালেশ্বর মন্দিরে মহাকাল (Mahakal) লোক নির্মাণের পর বিপুল সংখ্যক ভক্ত দর্শনার্থে পৌঁছাচ্ছেন। ভক্তের সংখ্যার প্রভাব এখন বাবা মহাকালের ভান্ডারেও দেখা যাচ্ছে।

উজ্জয়িনী মহাকালেশ্বর মন্দিরে মহাকাল (Mahakal) লোক নির্মাণের পর বিপুল সংখ্যক ভক্ত দর্শনার্থে পৌঁছাচ্ছেন। ভক্তের সংখ্যার প্রভাব এখন বাবা মহাকালের ভান্ডারেও দেখা যাচ্ছে। মাত্র ৩ মাসের মধ্যে মহাকালেশ্বরের ভাণ্ডার এক বছরের বেশি আয় করেছে। ২০২১ সালে মন্দিরটি ২২ কোটি ১৩ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিল৷ যা ২০২২ সালে ৪৬ কোটি ৫১ লাখে পৌঁছেছে। বছরের শেষ ৩ মাসে ২২ কোটি ৫১ লাখ টাকা দান এসেছে।

মহাকাল মন্দিরের প্রশাসক সন্দীপ সোনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ১১ অক্টোবর থেকে দান ৬০ থেকে ৭০% বেড়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভক্তের সংখ্যা। আপনি যদি দুই বছরের শেষ তিন মাসের প্রবণতা দেখেন, যেখানে ২০২১ সালের অক্টোবর, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে ১৪ কোটি টাকা অনুদান পাওয়া গেছে। লাড্ডু প্রসাদি এর মধ্যে নেই। একই সময়ে ২০২২ সালে এই তিন মাসে মন্দিরটি ২২.৫০ কোটি টাকা পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্রুত দর্শন, নন্দী হল, পূজা, বিভিন্ন নৈবেদ্য বাক্স থেকে দান। লাড্ডু প্রসাদিও এর মধ্যে নেই।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

মহাকাল লোক উদ্বোধনের পর ১০ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহান্তের তিন দিন অর্থাৎ শনি, রবিবার এবং সোমবার প্রচুর সংখ্যক ভক্ত দর্শন করতে আসেন। এই ৬ দিনেই রেকর্ড অনুদান পেয়েছে মন্দির কমিটি। ৭, ৮ ও ৯ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ৭৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা অনুদান পাওয়া গেছে। একইভাবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রসাদের কাছ থেকে সর্বাধিক ২ কোটি ৫৮ ​​লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে মোট অনুদানের পরিমাণ ২ কোটি ৭৩ লাখের বেশি এবং প্রসাদ থেকে প্রাপ্ত হয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখের বেশি।

মহাকাল লোক উদ্বোধনের পর ভক্তের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে সপ্তাহান্ত ও উৎসব ছাড়া প্রথম দিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার ভক্তের সমাগম হতো। সেই সংখ্যা এখন ৬০ হাজারে পৌঁছেছে। শনি, রবিবার ও সোমবার এই সংখ্যা দাঁড়ায় দেড় থেকে আড়াই লাখে। অর্থাৎ মন্দিরে আসা ভক্তের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। মন্দিরে আসা ভক্তরা কোনো না কোনোভাবে দান করেন এবং এই কারণেই মহাকালের ভান্ডার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২ বছরের শেষ ৩ মাসে মন্দিরে যে আয় হয়েছে তার রেকর্ড দেখা গেলে, ২০২১ সালে ১৪ কোটি টাকা দান করা হয়েছিল। যেখানে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মন্দিরটি আরতি, দ্রুত দর্শন, অন্যান্য দর্শনের ব্যবস্থা এবং দান বাক্স দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়েছে। এ ছাড়া লাড্ডু প্রসাদি থেকে আয় হয়েছে ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।