Laxmi Puja: কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষী ঘরে এসে কী বলেন? জেনে নিন

বিশেষ প্রতিবেদন: আবহাওয়া প্রতিকূল, ভীষণ দুর্যোগ চলছে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামীকাল, বুধবার লক্ষ্মীপুজো কিন্তু তিথি বিচারে ও নিশিযাম অনুযায়ী আজ মঙ্গলবারই বাঙালির ‘কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা’। জানেন কী…

rituarna-laxmipuja

বিশেষ প্রতিবেদন: আবহাওয়া প্রতিকূল, ভীষণ দুর্যোগ চলছে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামীকাল, বুধবার লক্ষ্মীপুজো কিন্তু তিথি বিচারে ও নিশিযাম অনুযায়ী আজ মঙ্গলবারই বাঙালির ‘কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা’। জানেন কী লক্ষী কোজাগরী পূর্ণিমার দিন এসে কী বলেন? 

কোজাগর অর্থাৎ আশ্বিনী-পূর্ণিমা, এবারে অবশ্য দেরিতে হ‌ওয়ার জন্য কোজাগরী পূর্ণিমা কার্তিক মাসে ঠেকেছে। কথিত আছে, এই তিথিতে নিশিযামে লক্ষ্মীদেবী পৃথিবীতে নেমে এসে বলেন, “শুধুমাত্র নারিকেলের জল পান করে কোন মর্ত‍্যবাসী জেগে আছ ? এসো আমি তোমায় ধন-সমৃদ্ধি দান করব।”

   

ব্রহ্মার মানসপুত্র ভৃগুর ঔরষে ও দক্ষরাজ প্রজাপতির কন্যা খ্যাতির গর্ভে লক্ষ্মী দেবীর জন্ম। লক্ষ্মীর দুই ভাইয়ের নাম ধাতা ও বিধাতা। বিষ্ণুপত্নী লক্ষ্মী স্বর্গ মর্ত‍্য পাতাল, সর্বত্র ধনলক্ষ্মীরূপে পূজিতা। একবার দেবরাজ ইন্দ্রের প্রতি কূপিত দূর্বাসা মুণি অভিশাপবলে স্বর্গ সহ ত্রিলোককে শ্রীহীন তথা লক্ষ্মীহীন করেন। শ্রীলক্ষ্মী সাগরতলে আশ্রয় গ্ৰহণ করেন। লক্ষ্মীহারা ত্রিভূবনে ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে।

তখন ব্রহ্মার নির্দেশে দেব ও অসুর মিলিতভবে সমুদ্র মন্থনে উদ্যোগী হয়। মন্থনের পাকদন্ড হয় মন্দর (মৈনাক?) পর্বত, পাক-রজ্জু বা দড়ি হয় নাগরাজ বাসুকী। দেব ও দানব সম্মিলিতভাবে মন্থন শুরু করে। মন্থনকালে একে একে উঠে আসে লক্ষ্মী, চন্দ্র, পারিজাত, ধণ্বন্তরী, অমৃত, ঐরাবত, উচ্চৈশ্রবাঃ ও সবশেষে অমৃত। এই লক্ষ্মীকেই অযোনিসম্ভবা হয়ে জনকরাজার কন্যারূপে পৃথিবীবাসীও হতে হয়েছিল, লক্ষ্মী হয়েছিলেন রঘুপতি রামচন্দ্রের দয়িতা, সীতা।

অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাতে দলবদ্ধভাবে আশপাশের প্রতিবেশীদের বাড়ির গাছের ফসল চুরি করে আনন্দ পায়। অনেক সময় চুরিকরা ফল-সব্জি ফসল-মালিকের বাড়ির দরজাতেই রেখে আসার‌ও প্রচলন আছে।

লক্ষ্মীর পট : সাধারণ মানুষ ও নিম্নবিত্ত কৃষিজীবী, সকলের‌ই তো ধানের গোলা সদৃশ শস্যাগার ছিল না। শস্য মজুত থাকতো মাটির জালা বা ঐ ধরনের বড় পাত্রে। সাধারণত এর ঢাকনাও ছিল মাটির সরাজাতীয় পাত্র। শস্যাগারের খিল তাড়া শিকল অর্গল বা রক্ষী হিসেবে এই সরাকেই আল্পনায় চিত্রিত করে মা লক্ষ্মীর প্রতীক রূপে পুজো করা হতো।

পরে পরে এই সরা-ই লক্ষ্মী-নারায়ণ, ফুল পাখি লতা-পাতা দিয়ে চিত্রিত হয়ে ‘পট-শিল্প’ গড়ে ওঠে। এটি প্রধানত পূর্ব বঙ্গের সংস্কৃতি। এখন অবশ্য সর্বত্র‌ই ছড়িয়ে পড়েছে। এই পটের‌ও অনেক রকমফের আছে।