Weight loss: ওজন কমানোর জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও মাথায় রাখুন

ওজন বৃদ্ধি বা স্থূলতা বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুতর সমস্যা। পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় 13 শতাংশ এই সমস্যার শিকার। গবেষণায় দেখা গেছে স্থূলতা গুরুতর স্বাস্থ্য…

ওজন বৃদ্ধি বা স্থূলতা বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুতর সমস্যা। পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় 13 শতাংশ এই সমস্যার শিকার। গবেষণায় দেখা গেছে স্থূলতা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ। এ কারণে ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। এই কারণেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সব বয়সের মানুষকে ওজন নিয়ন্ত্রণের(weight loss) পরামর্শ দেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের স্থূলতা বৃদ্ধির সমস্যা আরও মারাত্মক হতে পারে, এর জন্য সকল অভিভাবকের বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন।

ওজন বৃদ্ধির জন্য অনেক কারণ থাকতে পারে, সময়মতো তাদের সনাক্ত করা এবং প্রতিরোধমূলক পদ্ধতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। ওজন কমানোর জন্য মানুষ সব ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে, বিরতিহীন উপবাস থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এ ক্ষেত্রে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এর জন্য, আরও কিছু রুটিন অভ্যাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

   

আসুন জেনে নিই ওজন বৃদ্ধির কারণ কী এবং তা নিয়ন্ত্রণে ডায়েট ছাড়াও আর কী কী বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার?

যৌবনে স্থূলতার সমস্যা

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থূলতা সাধারণত অতিরিক্ত খাওয়া এবং খুব কম নড়াচড়া বা শারীরিক পরিশ্রমের অভাবের কারণে হয়ে থাকে। আপনি যদি উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরি, চর্বি এবং মিষ্টি গ্রহণ করেন, কিন্তু ব্যায়াম এবং শারীরিক কার্যকলাপ কম হয়, তবে বেশিরভাগ অতিরিক্ত শক্তি শরীরের চর্বি হিসাবে সঞ্চিত হয়। এটি স্থূলতার কারণ হতে পারে।

স্থূলতার সমস্যা এড়াতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি রুটিন অভ্যাস ঠিক রাখাও জরুরি বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নিই এর জন্য কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?

১.ব্যায়াম ওজন কমায়

ডায়েট ঠিক রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করাটাও খুব জরুরি। ক্যালোরি বার্ন করার জন্য ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সকল মানুষকে সপ্তাহে অন্তত 150 মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে। আপনি যদি জিমে যেতে না পারেন, তাহলে হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়াম করেও উপকার পেতে পারেন। ওজন কমানোর পাশাপাশি, এই অভ্যাসটি জীবনধারা সম্পর্কিত আরও অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।

২.পানীয় জলের উপকারিতা

ওজন কমানোর জন্য শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তাই প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করার অভ্যাস করুন। পানি পান করলে হজমশক্তি ভালো হয় এবং শরীর থেকে বিষাক্ততা কম হয়। এটি অতিরিক্ত চর্বি গঠন প্রতিরোধেও আপনার জন্য সহায়ক। পানীয় জল পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে, যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষণকেও উন্নত করে।

৩.ওজন কমাতে ভালো ঘুম জরুরি

বেশ কিছু গবেষণা প্রমাণ করে যে পর্যাপ্ত ঘুম আপনাকে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ঘুমের অভাব শুধুমাত্র ওজন বাড়াতে পারে না, এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। রাতে দেরি করে ঘুমালে আপনার চিনির তৃষ্ণা বেড়ে যায়, যা আপনাকে শরীরে ক্যালোরি বাড়ার ঝুঁকিতে রাখে। পর্যাপ্ত এবং সময়মত ঘুম আপনাকে সুস্থ ও ফিট রাখতে সহায়ক।