Health Tips: মুখের নিচের টিস্যু ফুলে যাওয়ার কারণে সাইনাস হয়। এটি মুখের উপরের অংশ, গাল এবং নাকের ভিতরের অংশকে পূর্ণ করে। এতে মুখে ব্যথা হয়। সব সময় নাক দিয়ে পানি আসে। এটি সাধারণত সর্দি-কাশির কারণে হয়ে থাকে, তবে সমস্যাটি অব্যাহত থাকলে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকও দায়ী হতে পারে। অর্থাৎ গ্রীষ্মকালেও যদি সাইনাস বা নাক দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা হয় তবে তা সর্দি নয়, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া প্রতিকার খুবই কার্যকরী হতে পারে।
তেজপাতা সর্দি বা সাইনাসের সমস্যার জন্য একটি দুর্দান্ত প্রতিকার হতে পারে। তেজপাতা সবসময় রান্নাঘরে সহজেই পাওয়া যায় এবং এটির জন্য খুব বেশি অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন নেই। রিপোর্ট অনুযায়ী, তেজপাতা ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি 6, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে। এছাড়াও তেজপাতা কপার, রিবোফ্লাভিন এবং জিঙ্ক রয়েছে। অনেক পুষ্টির কারণে তেজপাতা অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
সাইনাসের ব্যথা থেকে মুক্তি:
তেজপাতার প্রদাহ বিরোধী গুণ রয়েছে যা নাকের নিচের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। তাই তেজপাতা নাক দিয়ে সর্দির সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়। তেজপাতার সুগন্ধি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সাইনাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এটি নাকের সব ধরনের জটও দূর করে। তেজপাতার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে তেজপাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও কার্যকর। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এর পাশাপাশি এটি খারাপ কোলেস্টেরলও কমায়। তেজপাতার উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পরিচিত। এতে ক্যাফেইক নামক একটি জৈব যৌগ রয়েছে যা হার্টের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
তেজপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তেজপাতার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬ এবং ভিটামিন সি। এই সমস্ত ভিটামিন অনাক্রম্যতা বাড়াতে পরিচিত। তেজপাতা পেট সংক্রান্ত সমস্যাও দূর করে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন:
আপনি ভেষজ চা তৈরি করতে পারেন বা চায়ে মিশিয়ে পান করতে পারেন। এর জন্য জলে তেজপাতা যোগ করে সিদ্ধ করে পান করুন। এতে মধু যোগ করলে তা আরও বেশি উপকারী হয়। তেজপাতা জলে সিদ্ধ করেও সহজেই সেবন করা যায়।