East Medinipur: ভগবানপুরে দুই তৃণমূল কর্মীকে সামাজিক বয়কটের অভিযোগ!

অন্যান্য জেলার সঙ্গে একেবারে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটলো পূর্ব মেদিনীপুরে (East Medinipur)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেলা তাই কি বিজেপি কর্মীদের দাপট! বিজেপি নয় এবার তৃণমূলকে…

Two Trinamool Activists Accused in East Medinipur

অন্যান্য জেলার সঙ্গে একেবারে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটলো পূর্ব মেদিনীপুরে (East Medinipur)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেলা তাই কি বিজেপি কর্মীদের দাপট! বিজেপি নয় এবার তৃণমূলকে এক ঘরে করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। অভিযোগ, সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের দুই পরিবারকে সামাজিকভাবে কার্যত বয়কট করে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

ভগবানপুরের এই ঘটনা ঘিরে চাপানউতর এলাকায়। অভিযোগ, স্থানীয় ইটাবেরিয়ায় তৃণমূল করার জন্য দুই পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করে রাখা হচ্ছে। কৃষিকাজ করতে পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

ভূপতিনগর থানার ভগবানপুর-২ ব্লকের ইটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখলে। সেখানকার জিয়াখালি ও মৈশালি গ্রামের দুই তৃণমূল কর্মীকে বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক বয়কট ও চাষের জমিতে চাষ করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বিজেপি কর্মী সর্মথকরা গ্রাম কমিটি পরিচালনা করছে, তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ ও ভগবানপুর-২ ব্লক তৃণমূলেরই দখলে যায়। তবে ইটাবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। এলাকায় বিজেপির প্রভাব রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। জিয়াখালি গ্রামের বাহাদুর প্রামাণিকের অভিযোগ, তাঁরা তৃণমূল করেন বলে হেনস্থা হতে হচ্ছে। গ্রামে সালিশি সভা ডেকে তাঁদের বয়কট করা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।

গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার আরেক তৃণমূল কর্মী গৌরহরি দাসের অভিযোগ, শাসকদলকে সমর্থন করায় জমিতে চাষ করতে দিচ্ছে না বিজেপি। দুই তৃণমূল কর্মীরই দাবি, সব জায়গায় জানিয়েও কাজ হয়নি। এমনকী পুলিশও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিকাশ গিরি বলেন ” জিয়াখালি মৌজার বাহাদুর প্রামাণিকের চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছে “।

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপি কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক ও ভগবানপুর-২ ব্লকের সুভাষ মাইতি বলেন ” বাহাদুর প্রামাণিকের সঙ্গে বহুবার বসতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি রাজি হননি। গৌরহরি দাসের চাষের জমিতে চাষ করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আসলে ওনাদেরই সদিচ্ছার অভাব “। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খোঁজে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। ইটাবেড়িয়ার পঞ্চায়েত প্রধান ববিতা দোলুই বর বলেন ” এমন কোনও অভিযোগ তিনি পাননি। পেলে ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে “।

ইটাবেড়িয়া অঞ্চল তৃণমূলের সম্পাদক গৌরাঙ্গ মণ্ডল বলেন ” বিজেপি এলাকায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূল কর্মীদের উপর নানা অত্যাচার চলছে।এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। আগামী দিনের জনগণকে সামনে নিয়ে লড়াইয়ে নামবো “। প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য ভূপতিনগর থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেন নি।  তাই কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।