Health Tips For Kids: করোনা বেড়ে চলেছে। শিশুর হাঁচি কাশি থামছেই না। এ এক মহা চিন্তায় পড়েছেন বাবা মায়েরা। এমন সময়ে ওষুধ না দেওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, কাশির সিরাপ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেকটাই ক্ষতিকর বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু জানেন কি, একদম অতি সহজে রাতারাতি গায়েব হবে আপনার সন্তানের হাঁচি কাশি। আর নাক থেকে জল গড়াবে না (Health Tips For Kids)। এই শীতে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এক আয়ুর্বেদিক পানীয়ের খোঁজ দিচ্ছে আজকের প্রতিবেদন।
শিশুর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে বানিয়ে ফেলুন এক বিশেষ দুগ্ধজাত দ্রব্য মেশানো পানীয়। যা শীতে শরীরকে গরম ও তরতাজা রাখতে সাহায্য করবে। এই দ্রব্যের নাম হল ঘি।সুপারফুডের তকমা পেয়ে এসেছে ভিটামিন এ, ভিটানি এ২, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ঘি। ঘি-র প্রদাহরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্য সর্দি-কাশির যম। তাই রোজ সকালে জলের সঙ্গে মিশিয়ে এইভাবে শরবৎ বানিয়ে ঘি খাইয়ে দেখুন আপনার সন্তানকে। কীভাবে বানাবেন, তার পদ্ধতি উপকরণ সবটাই জেনে নিন পরের অংশে।
ঘি দিয়ে আয়ুর্বেদিক পানীয় বানানোর উপকরণ
- গোলমরিচ (ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশি, কফ দূর করতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ গোলমরিচ)
- আদা (আদার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণাগুণ ঠান্ডা লাগার সমস্যাতে মেটায়)
- তুলসি পাতা (বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলের জন্যই সর্দি-কাশির দূরীকরণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি ও অন্যান্য অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট সমৃদ তুলসী পাতা শ্রেষ্ঠ)
- চিনি (পানীয় স্বাদ ফেরাতে উপকারী)
কীভাবে বানাবেন এই আয়ুর্বেদিক পানীয়?
- একটি পাত্র গরম করে, সেখানে 1/2 চামচ ঘি ঢালুন।
- ঘি গলে গেলে এবার গোলমরিচ, আদা, তুলসি পাতা ও চিনি
দিয়ে নাড়তে থাকুন। সব উপকরণ কিন্তু স্বল্প পরিমাণে দেবেন (Health Tips For Kids)। - এরপর তাতে 2 কাপ মতো জল ঢেলে দিন। একটু ফুটিয়ে নিন।
- জল যখন ভালোভাবে ফুটতে শুরু করবে তখন তাতে আরও 3 চামচ চিনি মিশিয়ে নিন।
- ব্যস, এইভাবেই তৈরি হয়ে যাবে পানীয়। মনে রাখবেন পানীয়টি হালকা গরম অবস্থায় এলে তবেই বাচ্চাকে দেবেন। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।