একটা মন্দিরে পুরোহিত চোর, দেবতা কি চোর হয়ে যায়? অপবিত্র হয়ে যায়? যাঁকে আমরা দেবতা মনে করি, সত্যিই শ্রদ্ধা করি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন চোর হবেন? আমি চোর হতে পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কেন চোর হবেন? নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যুক্তি দিতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করে বসলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)।
রাজ্যজুড়ে বাম আমলে দুর্নীতি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে যুক্তি দেওয়ার সময় একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন মন্ত্রী শোভনদেব। যার মধ্যে ছিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হতে গেলে মাধ্যমিক থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পর্যন্ত ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা প্রয়োজন। কিন্তু যেখানে রজত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁর কোনও স্তরেই ওই নম্বর ছিল না। অনেকগুলো কেস রয়েছে। কোথায় কোথায় দুর্নীতি হয়েছে, সমস্ত তথ্য রয়েছে। এমনটাই দাবি করেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক নিয়োগ সেসময় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ছাড়া হয় না। তাঁদের ৬৫ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। কিন্তু যাঁরা নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের একজনেরও এই নম্বর ছিল না। এরকম ২০০ অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেআইনি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি৷
এই মুহুর্তে নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এরই মধ্যে শাসক দলের তরফে একাধিক যুক্তি তুলে ধরা হচ্ছে। সেরকমই যুক্তি দেখাতে গিয়ে শাসক দলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের মন্তব্য এখন আলোচনার শিরোনামে।