রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মোড়। বোসের মধ্যরাতের অ্যাকশন। একটি চিঠি নবান্ন, অন্যটি গেল দিল্লি। এর পরেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কটাক্ষ। বোসকে ভ্যাম্পায়ার বলে নিশানা বসুর। যা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে।
মধ্যরাতের আগেই দুটি কনফিডেন্সিয়াল খামবন্দী চিঠির একটি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ও অন্যটি দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে কি রয়েছে তা অফিসিয়ালি রাজভবন থেকে না জানালেও একটি ইঙ্গিত এসেছে। তা হল এই যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। এই গোটা বিষয়টি চিঠির মধ্যে রয়েছে এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ও । মুখ্যমন্ত্রীর নজির বিহীন সংঘাতের মাঝে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক অবরোধের হুঁশিয়ারি। রাজ্যপালের মধ্যরাতের চ্যালেঞ্জ। রাজ্যপালকে পাল্টা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ভ্যাম্পায়ার কটাক্ষ। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। রাজ্যপালের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা রাজ্য। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালের কড়া বার্তার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অ্যাকশন। তাদের নয়া মোড় দুটি খামবন্দী চিঠি।
তবে কি রয়েছে রাজ্যপালের সই করা জোড়া চিঠিতে? রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। গোটা বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও মধ্যরাতে শুরু হয় রাজনৈতিক জল্পনা। রাজভবন সূত্রে জোড়া চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র বিশ্বজিৎ দেব ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ” মিস্টার সি ভি আনন্দ বোস আমরা আপনার মিডনাইট স্ট্রাইকের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। এবং এর উপযুক্ত জবাব আপনাকে দেওয়া হবে। রাজ্যপাল হিসেবে সীমা অতিক্রম করবেন না”।
রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। এ বিষয়ে রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, ” রাজ্যপালকে যদি কিছু বলার হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী বলুক। শিক্ষামন্ত্রী বলুক। পার্টিটা এখন লাগাম ছাড়া হয়ে গিয়েছে। যার বলার ক্ষমতা তার বাইরে যে কেউ বলতে শুরু করেছে। রাজ্যপালকে কোনও হুমকি দিয়ে কাজ হবে না। মুখ্যমন্ত্রী টের পেয়েছে”।