চিকিৎসকের মৃত্যুতে ক্রমশ বাড়ছে আন্দোলনের তেজ। ইতিমধ্যেই যা শহর, রাজ্য, দেশের সীমা পেরিয়ে আছড়ে পড়েছে বিদেশের মাটিতেও। নারকীয় সেই ঘটনার পর অতিবাহিত ১০ দিন। গত ৮ অগস্ট আরজি করের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই মহিলা চিকিৎসকরে দেহের ময়না তদন্ত হয়েছিল। সেই পূর্ণাঙ্গ ময়না তদন্ত রিপোর্টে কী আছে? সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদনে তা প্রকাশ করা হয়েছে।
আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে উল্লেখ, শ্বাস রোধ করেই খুন করা হয়েছিল মহিলা চিকিৎসককে। তাঁর দেহে একাধিক আগাতের চিহ্ন মিলেছে। শরীরে মিলেছে বীর্যও। তবে, শরীরের কোনও অংশ বা হাড় ভাঙার উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু বলা হয়েছে যৌন নিপীড়নের শিকার নির্যাতিতা।
মমতার পুলিশের হাতেই গ্রেফতারির আশঙ্কা! এবার হাইকোর্টে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর
ওই মহিলা চিকিৎসকের শরীরে মোট ২৪টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে বলা হয়েছে। তবে, ১৫০ গ্রাম/মিলিগ্রাম বীর্য পাওয়ার যে কথা উঠেছিল তা খারিজ করা হয়েছে। বিষয়টি যদিও কলকাতা হাইকোর্টে মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা আবেদনের অংশও ছিল। রিপোর্টে উল্লেখ, সাদা পুরু ভিসিড তরল নির্যাতিতার শরীরে পাওয়া গিয়েছে, তবে সেটা কি তার উল্লেখ করা নেই।
ময়নাতদন্ত রিপোর্টে যৌনাঙ্গের ওজন হিসেবে ‘১৫১ গ্রাম’ উল্লেখ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শরীরের বিভিন্ন অংশের ওজন উল্লেখ করা একটি আদর্শ পদ্ধতি।
ঝান্ডাহীন লড়াইয়ের আর্জি শুভেন্দুর, নির্যাতিতার পরিবারকে শর্ত দিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক
রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার মাথা, গাল, ঠোঁট, নাক, ডান চোয়াল, চিবুক, ঘাড়, বাম হাত, বাম কাঁধ, বাম হাঁটু, গোড়ালি এবং গোপনাঙ্গের ভিতর-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রয়েছে আঁচড়ের দাগও। এছাড়া, ফুসফুসে রক্তক্ষরণ এবং শরীরের অন্যান্য অংশে রক্তজমাট বাঁধার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত্যুর আগে অতিরিক্ত অত্যাচারের ফলে নির্যাতিতা অসচেতন হয়ে পড়েছিলেন, সেই অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। চিকিৎসকদের দাবি, জোর করে পুরুষাঙ্গ নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে প্রবেশের চেষ্টা হয়, যা যৌন নিপীড়নের ইঙ্গিতবাহী। তার বিজ্ঞানভিত্তিক নথিও মিলেছে।
বদল হোক ‘ভুতুড়ে স্ট্যাচু’র, মোহন-ইস্ট ভ্রাতৃত্বই দেবে অনুপ্রেরণা! দাবি বাংলার ফুটবল সমর্থকদের
গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। যা দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও চিকিৎসকদের ধর্মঘটের জন্ম দেয়। এরপরই তদন্তে নেমে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার তিনদিন পর (১৩ অগস্ট) কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের ভার নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তেকারী সংস্থা কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে চারদিন ধরে লাগাতার জেরা করছে।