ঘূর্ণিঝড় ফেঞ্জলের আগমনে শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার আবহাওয়া পরিবর্তন (West Bengal Weather Update) হতে শুরু করেছে। তবে বঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড় সেভাবে প্রভাব না ফেললেও দেশের দক্ষিণ পূর্ব এলাকায় ইতিমধ্যেই বিরাট মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। তিলোত্তমায়ও সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির দেখা মিলেছে। তবে আলিপুর হাওয়া অফিসের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, কলকাতাতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কিছুদিন শহরে মেঘলা আকাশের দেখা মিলবে। ৩০ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ এবং ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২ ডিসেম্বর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রিতে। ২-৩ ডিসেম্বর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৮ ডিগ্রির ঘরে। ৩-৫ ডিসেম্বর শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে দাঁড়াবে ২৭ ডিগ্রিতে।
জ্বলল মশাল! নর্থইস্টকে হারিয়ে আইএসএলে প্রথম জয় লাল-হলুদের
সবশেষে ৪-৫ দিনে তা নেমে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৫ ডিগ্রি বেশি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেভসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৯ ডিগ্রি নিচে। এর পাশাপাশি আর কী জানা যাচ্ছে? আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মূলত, চার জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ অর্থাৎ শনিবার বৃষ্টির হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। অন্যদিকে ১ ডিসেম্বর অর্থাৎ রবিবার হালকা বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। তবে ২-৫ ডিসেম্বর দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
উপকূলরক্ষী সংক্রান্ত তথ্য পাচারের অভিযোগে পাক-গুপ্তচর গ্রেফতার
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, গড়বেতা সহ বিভিন্ন এলাকায় আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ৩০ নভেম্বর-৫ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
তবে সেখানে কিছু কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার তামিলনাডুর পুদুচেরির কাছে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেঞ্জল’। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের বাংলায় কোনও প্রভাব না ফেললেও দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই তামিলনাডু ও কর্নাটকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জাত দেখালেন শ্রীজাত
পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৭০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে কারইকাল এবং মহাবালিপুরমের মধ্যে দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোথায় কতটা প্রভাব ফেলে এই ঘূর্ণিঝড় এখন সেটাই দেখার।