গুজরাটের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (ATS) এক ব্যক্তিকে (Pakistani spy network) গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, তিনি উপকূলরক্ষী জাহাজগুলির গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছিল। এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম দীপেশ গোহেল। সে প্রতিদিন ২০০ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পাকিস্তানি এজেন্ট সাহিমার কাছে এই তথ্য সরবরাহ করত৷ সাত মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে দীপেশ ওই পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
গুজরাট ATS-এর SP কে সিদ্ধার্থ ANI-কে জানান, “গুজরাট ATS একটি গুপ্তচরবৃত্তির মামলা নথিভুক্ত করেছে। অভিযুক্ত দীপেশ গোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত তিন বছর ধরে তিনি ওখা JT এলাকায় কাজ করছিলেন, যেখানে তিনি জাহাজে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন। সাত মাস আগে তিনি ফেসবুকে পাকিস্তানি বন্ধু সাহিমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।”
পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে তথ্য বিনিময়
পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত দীপেশ তার মোবাইল নম্বর সাহিমাকে দেন এবং পরে জানতে পারেন যে সাহিমা পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত। সাহিমা তাকে উপকূলরক্ষী জাহাজগুলির নাম, তাদের গতিবিধি এবং অন্যান্য গোপন তথ্য দিতে বলেন। এর বিনিময়ে প্রতিদিন ২০০ টাকার চুক্তি হয়।
SP সিদ্ধার্থ আরও জানান, “গত সাত মাসে প্রায় ৪২,০০০ টাকার ব্যাংক লেনদেন হয়েছে। অভিযুক্ত জানতেন যে এই ধরনের তথ্য দেওয়া আইনত নিষিদ্ধ। তবুও তিনি এই কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন।”
আইনি পদক্ষেপ
এই ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita – BNS)-এর ৬১ ও ১৪৮ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। দীপেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
এই ঘটনার পরে উপকূলীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে, উপকূলরক্ষী বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আরও তদন্ত চালাচ্ছে যে, দীপেশ গোহেলের সঙ্গে কোনও বৃহত্তর নেটওয়ার্ক যুক্ত রয়েছে কি না।
গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ
দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ঘটনা গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামাজিক মাধ্যমে বিদেশি এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগের ফলে তথ্য ফাঁসের ঘটনা বেড়ে চলেছে। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন।